পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা
বিশেষ সংবাদদাতা : সুপ্রিম কোর্টে স্থাপিত ভাস্কর্যের বিরোধিতাকারী ওলামাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি সরাতে তিনিও চান।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে গণভবনে কওমি মাদরাসার আলেমদের সঙ্গে এক সাক্ষাতে তাদের এই প্রতিশ্রæতি দেন তিনি।
এই বৈঠকে কওমি মাদরাসাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধি ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীও ছিলেন।
রোমান যুগের ন্যায়বিচারের প্রতীক ‘লেডি জাস্টিস’র আদলে একটি ভাস্কর্য কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়।
এরপর থেকে হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন তার বিরোধিতায় নামে। হেফাজত এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে ৫ মে মতিঝিলে ফের সমাবেশের হুমকি দিয়ে আসছে। ওলামা লীগও তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল।
গণভবনের বেঠকে শোলাকিয়ার ইমাম মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ জাতীয় ঈদগাহের পাশেই স্থাপিত ‘মূর্তি’ সরানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ভাস্কর্যটির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি গ্রিক মূর্তি আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিত না। এটা কেন করা হল? কারা করল? কীভাবে, জানি না।”
“গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।”
ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনার পর গণভবনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকশ আলেম হর্ষধ্বনি হয়ে ওঠেন।
হেফাজত আমির শফীকে পাশে রেখে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির সঙ্গে খুব শিগগিরই বসব। আপনারা ধৈর্য ধরেন, এটা নিয়ে হৈ চৈ করা নয়। আমার উপর আপনারা এটুকু ভরসা রাখবেন। এটায় যা যা করা দরকার আমরা তা তা করব।’
প্রধানমন্ত্রী ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে একমত হলেও তার দলের কয়েকজন নেতা হেফাজতের দাবির সমালোচনা করে আসছিলেন।
এদিকে, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাতে গণভবনে আলেমদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের মান দেওয়া হলো।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমরা একটি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। যাতে এর মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি হতে পারে। অনেক সমস্যাই এখন থাকতে পারে এখানে। কিন্তু ধীরে ধীরে আমরা এগুলো আলোচনার মাধ্যমে দূর করবো।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহŸানে বৈঠকে যোগ দিতে রাত সোয়া ৮টার দিকে গণভবনে আসেন হেফাজতে ইসলামের আমির ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তার নেতৃত্বে গেছেন প্রায় ৩০০ জন আলেম এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে কওমি আলেমদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, কওমি মাদ্রাসার দাওয়ায় হাদিসের মান হচ্ছে এমএ (আরবি/ ইসলামের ইতিহাস) সমমান। সনদের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে কওমিপন্থীদের সঙ্গে সরকারের টানাপড়েনের অবসান ঘটল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।