পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কুমিল্লা, খুলনা ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোকে আরো প্রশস্ত করতে আলাদা তিনটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পগুলো গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদিত হয়।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তিনটিসহ ৩ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ের আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়ার কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, অনুমোদিত আট প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে ২ হাজার ৪১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৩৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৮৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা আসবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ভবিষ্যতে সারা বাংলাদেশের পুলিশের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বড় পরিসরে একটি প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে ধাপে ধাপে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’ এছাড়াও বৈঠকে সরকারের সকল কর্মচারীর জন্য শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার ইচ্ছাও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্ত করার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। বৈঠকে খুলনা অঞ্চলের চার জেলার ১২৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণ ও প্রশস্ত করতে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (খুলনা জোন)’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্পটির মাধ্যমে খুলনা সদর ও ডুমুরিয়া, বাগেরহাট সদর, ফকিরহাট, কচুয়া ও মোড়েলগঞ্জ, সাতক্ষীরা সদর ও তালা এবং কুষ্টিয়া সদর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করা হবে। এ প্রকল্পটি ২০১৯ সালের মধ্যে প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে।
বৈঠকে সড়ক উন্নয়নে অনুমোদন পাওয়া আরেক প্রকল্প হচ্ছে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (কুমিল্লা জোন)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর ও ল²ীপুরের বিভিন্ন উপজেলার মধ্যে ১৬৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীতকরণের পাশাপাশি প্রশস্তকরণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৪৭৬ কোটি টাকা।
বৈঠকে সড়ক উন্নয়নে অনুমোদন পাওয়া আরেক প্রকল্প হচ্ছে ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন)’। এ প্রকল্পটির মাধ্যমে বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা এবং ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১০৫ কিলোমিটার সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণের পাশাপাশি প্রশস্ত করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৫৯৮ কোটি টাকা।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছেÑ ‘উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো প্রকল্প (১ম সংশোধিত)’, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ‘রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প’, এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭৩ কোটি টাকা। ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট-মিঠামইন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’, এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকা। ‘বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ প্রকল্প’, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫২ কোটি টাকা। ‘ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জে দুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ১০ কিলোওয়াট এফএম বেতার কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন ৪৫ শতাংশ
২০১৬-২০১৭ চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৬-২০১৭ চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে, যা টাকার অংকে ৫৩ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। একই সময়ে গত বছর এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল ৪৪ শতাংশ, যা টাকার অংকে ছিল ৪১ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এডিপি বাস্তবায়নের হার যেন সারা বছর সমানভাবে হয়। এ জন্য যেসব সংস্কার আনয়ন করা দরকার সেগুলো আমরা করেছি। বছরের ৯ মাস পর্যন্ত মন্ত্রণালয়গুলো নিজেদের টাকা নিজেরাই খরচ করতে পারে, যা আগে ছিল না।’
‘গত বছরের তুলনায় এ বছর এডিপি বাস্তবায়নের হার ভালো। আগামী তিন মাসেও এডিপি বাস্তবায়নের হার ভালো থাকবে বলে আমরা আশা করি,’ বলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।