Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হবে

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে তা সম্পন্ন হবে। গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
২০১৮ সালের প্রথম থেকেই এটা বাস্তবায়ন হবে কি নাÑ এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ওনারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা) ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠদান, স্বীকৃতি দেয়া, রেজিস্ট্রেশন দেয়ার বিষয়ে আমাদের চিঠি দিয়েছেন। এই চিঠি দেয়ার পরও কিছু কাজ থাকে। রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী আমি চাইলেই কিছু একটা ওনাকে ছেড়ে দিতে পারব না, উনি চাইলেও পারবেন না। ক্যাবিনেট পর্যন্ত কিছু কিছু কাজ আছে, সেই কাজগুলো ওনারা করছেন। প্রাথমিকের বৃত্তি কত দিন চলবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যত দিন সমাপনী চলবে তত দিন।’ পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী কত দিন চলবেÑ এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যত দিন সরকার এ সিদ্ধান্ত বহাল রাখবে তত দিন।’
গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হলে আমরা কি করব সে জন্য গ্রাউন্ডওয়ার্ক করছি। এনসিটিবিতে তখন আমাদের ভ‚মিকা কী হবে, এখন কী ভ‚মিকা আছে। সবকিছু ঢেলে সাজাতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ছেড়ে দিলে যাতে আমরা চালাতে পারি সে জন্য তারাও আমাদের উপযুক্ততা পরীক্ষা করে নিশ্চয়ই ছাড়বেন। কারিক্যুলাম ডেভেলপমেন্ট করা, প্রত্যেক স্কুলে অবকাঠামোগত, হাইস্কুলের সঙ্গে যেটা আছে ষষ্ঠ-অষ্টম সেটা পেয়ে গেলাম, অন্য স্কুলের সঙ্গে যেটা সংযুক্ত আছে সেটাকে কেমন করে আমি পাব, ওখানকার শিক্ষক একেবারেই বাদ পড়ে যাবে কি না বা ওই শিক্ষকরা আমার এখানে চলে আসবে কি না, শিক্ষকগুলোকে সরকারিকরণের প্রশ্ন আসে কি না। সেই কাজ করছি। স্কুল ম্যাপিংও চলছে।’ ২০১৮ সালের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন কি না- এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সব সময়ে এগিয়ে যায় না সবকিছু। প্রত্যাশা আমাদের অনেক বড়, সেই জায়গায় পৌঁছাতে গেলে অনেক সময় লাগবে।
প্রাথমিকের বৃত্তি ফল প্রকাশ : প্রাথমিক বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে গতকাল (মঙ্গলবার)। ২০১৬ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মোট বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী। মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হতো। ২০১৫ সাল থেকে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০০ করা হয়েছে। তিনি জানান, এবার ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ৩৩ হাজার ও ৪৯ হাজার ৪৫৯ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ড, উপজেলা বা থানা ও বিভাগ পর্যায়ে বৃত্তি বণ্টনের পর ৪১টি বৃত্তি অবশিষ্ট রয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। মোস্তাফিজুর বলেন, ‘বর্তমানে সাধারণ কোটায় বৃত্তির সংখ্যা ৫০০। সেই হিসাবে মোট সাত হাজার ৯৮৬ ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ছয়টি করে (তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী) ৪৭ হাজার ৬৭৬টি সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়েছে। বাকি এক হাজার ৮২৪টি বৃত্তি থেকে প্রতিটি উপজেলা বা থানা থেকে আরো তিনটি করে ৫০৯টি উপজেলা বা থানায় এক হাজার ৫২৭টি সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়েছে। সাধারণ বৃত্তি থেকে প্রতিটি জেলায় আরো চারটি করে ৬৪ জেলায় আরো ২৫৬টি বৃত্তি বণ্টন করা হয়েছে।’ গত ২৯ ডিসেম্বর প্রাথমিক সমাপনীর ফল প্রকাশিত হয়। এতে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ জন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ