Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেমিকের মৃত্যুসঙ্গী হলো প্রেমিকা

| প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোটার : প্রেমিকের মৃত্যুসঙ্গী হয়েছে কিশোরী প্রেমিকা। প্রেমিক মেহেদীর মৃত্যুর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কিশোরী রাবেয়া আক্তার রুমাও চলে গেলো না ফেরার দেশে। ঘটনাটি ফতুল্লার দেওভোগ মাদরাসা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, পশ্চিম দেওভোগ মাদরাসার শেষ মাথায় গাঙুলী বাড়ীর ভাড়াটিয়া কিশোরী রুমা (১৪) ও দেওভোগ নাগবাড়ীর আহাম্মদের বাড়ির ভাড়াটিয়া মেহেদীর (১৮) সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝগড়াও হয়। একপর্যায়ে সোমবার রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে মেহেদী। ঘটনার খবর পেয়ে প্রেমিকা রুমাও গতকাল মঙ্গলবার ঘরের ভিতর ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
রুমা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার, সিদ্ধেশ্বরী গ্রামের আ. হাকিমের মেয়ে। তারা পশ্চিম দেওভোগ মাদরাসার শেষ মাথা গাঙুলি বাড়ির মিলন মিয়ার বোনের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। অন্যদিকে মেহেদী জয়পুরহাটের সাইফুল ইসলামের ছেলে। সাইফুল ইসলাম দেওভোগ নাগবাড়ির আলী আহাম্মেদের বাড়িতে ভাড়া থাকে। পুলিশ উভয়ের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সাফিউল জানান, উভয়ের মধ্যে প্রেম চলছিল বলে তদন্তে পাওয়া গেছে।
অপহরণ ও হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ড
রংপুর জেলা সংবাদদাতা : রংপুরে হিমেল নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে মারুফ হোসেন মানিক নামে একজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদÐ দিয়েছেন আদালত। সে সাথে অপহরণকারী মানিকের স্ত্রী রুনা আখতার বৃষ্টিকে তিন বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক চাদ মোহাম্মদ আব্দুল আল রাজি এ রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর বিকালে শিশু হিমেল খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তার বাবা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নিখোঁজের ছয় দিন পর হিমেলের লাশ বাড়ির কাছেই একটি বালুর মধ্যে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আসামি মানিক ও তার স্ত্রী বৃষ্টি পলাতক থাকায় পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নওগাঁ থেকে আসামি দুজনকে গ্রেফতার করে রংপুরে নিয়ে আসে। আসামি মানিক ও তার স্ত্রী দুজনই আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ