পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719535969](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত আন্তর্জাতিক চুক্তি সংসদে উপস্থাপন না করার বিষয়ে জাতীয় সংসদের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর দেয়া ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। গত রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবি সপ্তম সংসদ থেকে এয়োদশ অধিবেশন পর্যন্ত সংসদীয় কার্যক্রমের ওপর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তার প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদের হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার ও ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, টিআইবির প্রতিবেদনে ওই সময়ের মধ্যে ৫৯টি আন্তর্জাতিক চুক্তি হলেও তা সংসদে তোলা হয়নি। ওই বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ সংবিধানের ১৪৫-এর ‘ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিদেশের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি প্রেসিডেন্টের নিকট পেশ করা হইবে এবং প্রেসিডেন্ট তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন। বিষয়টি সংসদের এখতিয়ার নয়। চুক্তিগুলো আদৌ সংসদে তোলা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোলা হয়নি। প্রেসিডেন্ট উদ্যোগ নেননি বলে হয়নি। এ ক্ষেত্রে সংসদের কোনো ব্যর্থতা নেই বলেও তিনি দাবি করেন।
চিফ হুইপ বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এবারের চুক্তির পূর্ব পর্যন্ত ৮৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে বিএনপি সরকারের শাসনামলে ১৩টি চুক্তি এবং জাতীয় পার্টির শাসনামলে ছয়টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কখনোই ওই সব চুক্তি সংসদে আলোচনা হয়নি। তখন টিআইবি প্রশ্ন তোলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আ স ম ফিরোজ বলেন, টিআইবির প্রতিবেদনে দেশের সব সংসদ সদস্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্মান করা হয়েছে। তারা সবসময়ই এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক ও নেতিবাচক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের হেয় করার লক্ষ্যে কাজ করে। টিআইবির প্রতিবেদনে যেসব অমূলক ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তার সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোথায় যেন মিল রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এমপিরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। তাই তাদের বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার আগে জনগণকে অপমানিত করা হচ্ছে কি নাÑ তা বিবেচনা করতে হবে।
আ স ম ফিরোজ বলেন, সংবিধান বিষয়ে সংসদ সদস্যরা ভালো বোঝেন বলেই জনগণ তাদের নির্বাচিত করে সংসদে পাঠিয়েছেন। টিআইবি এ সম্পর্কে কথা বলতে চাইলে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জনগণের ভোট নিয়ে সংসদে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, কটূক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি সঠিক নয়। এ জন্য আমি একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সব সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করছি এবং সংসদ সদস্যদের সম্পর্কে এ ধরনের প্রতিবেদন পেশ না করার অনুরোধ করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।