পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে : প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে সাভারে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে আরো অন্তত ১০ জন। এঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিরুলিয়া-চারাবাগ সড়কে কাঠের টুকরো দিয়ে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছে। ভাঙচুর করেছে দোকানপাট ও যানবাহন। গতকাল (সোমবার) দুপুরে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় অবস্থিত ‘সিটি ইউনিভাসির্টি’র সামনে এঘটনা ঘটে।
নিহত সিফাত হোসেনের (২৩) বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়। সে বিশ^বিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ১১তম ব্যাচের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
পিঠে গুলিবিদ্ধ একই বিভাগের ছাত্র বাসুদেব পালকে (২৪) মুমূর্ষ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
সিটি ইউনিভার্সিটির কয়েকজন শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদের সাথে আরেক শিক্ষার্থী বাপ্পির একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর প্রেমের সর্ম্পক নিয়ে প্রচÐ ঝগড়া হয়।
তারই জের ধরে সোমবার দুপুরে শাহেদের পক্ষের শিক্ষার্থীরা সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে বাপ্পির ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আচমকা তাদের উপর হামলা করে। তখন সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় সিফাত ও বাসুদেব। পরে অন্য ছাত্ররা তাদেরকে দ্রæত উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাতকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে হঠাৎ গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে উঠে খাগান বাজার এলাকার বাসিন্দারা। মানুষজন দোকানপাট, ব্যবসা বাণিজ্য ফেলে রেখে দ্বিগবিদ্বিক ছুটাছুটি করতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যেই থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জনবহুল এলাকাটি।
ঘটনার মুলহোতা বাপ্পী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানাগেলেও বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য একাধিক ছাত্রলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুর রহমান সুজন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে দুই ছাত্রের দ্ব›েদ্বর জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী বাপ্পীর বাড়ির আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায়। তবে বাপ্পী ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত কিনা কিংবা হামলায় ছাত্রলীগের কেউ অংশ নিয়েছিল কিনা তা তিনি জানেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সংঘর্ষের পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা খাগান বাজারে কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করে দোকানের মালামাল সড়কে এনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া বিরুলিয়া-চারাবাগ সড়ক অবরোধ করে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাঠের টুকরো ও প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
তারা বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরুলিয়া ফাঁড়ির এসআই তারিকুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তিনি তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি। ঘটনাস্থল থেকে কয়েক রাউন্ড গুলির খোশা উদ্ধার করার কথাও বলেছেন তিনি।
এঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম নবী শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ছাত্র নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।