পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার মামলা প্রত্যাহার না করায় আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাকে মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানোর জন্য বিএনপির তীব্র সমালোচনা করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এরশাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেশা হচ্ছে ক্ষমতার দিকে। তারা ক্ষমতা ছাড়া কিছুই বোঝে না। ওরা শুধু ক্ষমতায় থাকতে চায়! ক্ষমতায় থাকতে চায়!! ক্ষমতায় থাকতে চায়! দেশের মানুষের জান ও মালের কোনোই নিরাপত্তা নেই। মানুষ কথা বলতে পারে না। মানুষ লিখতে পারে না। শান্তিতে ঘুমাতে পারে না কে কখন হারিয়ে যায়, কে কখন গুম হয়ে যায়, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠার মধ্যে মানুষ জীবনযাপন করছে। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। অথচ জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে এসবের কিছুই ছিল না। জনগণ আজ এই অবস্থার পরিবর্তন চায়। আমাকে আরেকবার সুযোগ দিলে আমি দেশে পরিবর্তন আনব, সু-শাসন দিবো, জনগণের শান্তি নিশ্চিত করব।
তিনি গতকাল (সোমবার) বিকেলে নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির মহা-সচিব এ বি এম রূহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. সালমা ইসলাম এমপি, ঢাকা মহানগর (উত্তর)’র সভাপতি এসএম ফয়সল চিশতী। জেলা সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন, জাপার কেন্দ্রীয় নেতা আমির হোসেন ভূইয়া এমপি, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভূইয়া, জাপা নেতা জাকির হোসেন ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার এমএ ছাত্তার, এস এম জাহাঙ্গীর পাঠান, অ্যাড. এ কে এম রেজাউল করিম বাছেদ, শামীম রানা ভূইয়া, আবু সাঈদ স্বপন প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, ১৯৯০ সালে আমি দেশ ও জনগণের স্বার্থে পদত্যাগ করেছিলাম। আমাকে মামলায় জড়িয়ে ৬ বছর জেলে রাখা হয়েছে। তারা চেয়েছিল আমি জেলখানায় মরে যাই। কিন্তু আমি মরিনি, আজও বেঁচে আছি। সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছি। ১৯৯৬ সালে আমরা ৩৫টি আসন পেয়েছিলাম। বিএনপি পেয়েছিল ১১৬টি এবং জামায়াতে ইসলাম পেয়েছিল ৩টি আসন। বিএনপি আমাকে প্রধানমন্ত্রীত্ব দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু আমাকে মামলা দিয়ে আমার উপর অত্যাচার চালানোর কারণে আমি তাদের সমর্থন দেইনি। আমি সমর্থন দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগকে। কিন্তু কি পেলাম আওয়ামী লীগের কাছ থেকে? দীর্ঘ দিনেও আমার মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। ওরা চায় না আমি মুক্ত হই, মুক্ত বাতাশে চলাফেরা করি। আমি অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দিবো। ৩০-৪০টি ইসলামীক দল আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। এ মাসেই আমরা জোট গঠনে সক্ষম হবো। আমি আর বেশিদিন বাঁচব না। মৃত্যুর আগে আমি জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে যেতে চাই। মানুষের শান্তি দেখে যেতে চাই।
তিনি বলেন, আমি ১৯টি জেলা থেকে দেশে ৬৪টি জেলা সৃষ্টি করেছি। ক্ষমতার জন্য ক্ষমতা চাই না, জনগণের জন্য ক্ষমতা চাই। আরেকবার সুযোগ দিলে দেশের মানুষ অতীতের মতই শান্তিতে থাকতে পারবে। বক্তৃতা শেষে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ শফিকুল ইসলাম শফিককে সভাপতি ও হাবিবুর রহমান ভূইয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।