Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চিঠিপত্র : নদী বাঁচান, দেশ বাঁচান

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নদী দূষণ, নদী ভরাট এবং তারপর নদী দখল- চলমান এ প্রক্রিয়াটি বর্তমানে খুবই পরিচিত একটি বিষয়। নদীমাতৃক এদেশের বেশিরভাগ নদীই এখন দখলদারদের খপ্পরে। বিভিন্ন কলকারখানা ও ভারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো হরহামেশাই গড়ে ওঠে নদীর তীরে যা সর্বদাই নদী দূষণ ও দখলে সক্রিয় ভ‚মিকা রেখে চলেছে। কলকারখানার বিষাক্ত ও রাসায়নিক হেভিমেটাল বর্জ্যসমূহ কোনোরূপ শোধন ছাড়াই নদীতে ফেলা হয় যা কেবল নদী দূষণই নয়, পুরো ইকোসিস্টেমকেই ভেঙে দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রভাবশালী ব্যক্তি, আমলা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও নদী দখলে পিছিয়ে নেই। একদিকে দূষণ, অপরদিকে দখল, আর এর মাঝে পড়ে নদীগুলো হারাচ্ছে তার নব্যতা, ঘটছে পরিবেশ বিপর্যয়। নদীমাতৃক এদেশের অর্থনীতিও অনেকাংশে নদীর উপর নির্ভরশীল। কিন্তু ক্রমাগত আগ্রাসনে সর্বংসহা নদীগুলো আর কতকাল আত্মরক্ষা করবে, তা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। দেশের অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজনেই তাই এ নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের আন্তরিকতা এবং যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করছি।
জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ

আসুন রাস্তার পাশে গাছ লাগাই
আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন। এই অক্সিজেন উৎপাদন করে গাছ। তাই বেঁচে থাকতে হলে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। দেশে অনেক কাঁচা ও পাকা রাস্তা রয়েছে যে রাস্তাগুলোর দুইপাশে কোনো গাছ নেই। সরকার যদি উদ্যোগ নিয়ে এই রাস্তাগুলোর দুই পাশে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করে তাহলে সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। পাশাপাশি আমাদের পরিবেশটাও ভালো থাকবে। বর্তমানে রাস্তার পাশে যে গাছগুলো রয়েছে সেগুলো বৃক্ষ সন্ত্রাসী ও কাঠ ব্যবসায়ীরা মিলেমিশে নিধন করার ফলে ছায়া শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রখর রৌদ্র, খাঁ খাঁ বালুময়-মরুময়তা দূর করতে সবাইকে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। গাছ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে আমরা বেঁচে আছি। বাঁচার তাগিদে বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত জরুরি। কাঠের তৈরি বসত ঘরে থরে থরে সাজানো আসবাবপত্রও কিন্তু এই বৃক্ষেরই অবদান। তাই সরকারের কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এ ধরনের মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করুন।
হোসাইন আনোয়ার
লহুচাঁদ মাস্টার পাড়া, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও।

নিরাপত্তা সংকটে বাকৃবি ক্যাম্পাস
দক্ষিণ এশিয়ার কৃষিশিক্ষার সর্ববৃহৎ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৃতিকন্যা নামে খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টির সুনাম দেশব্যাপী। সবুজ এই ক্যাম্পাসটিতে পড়ালেখার সুযোগ করে নিতে অনেক পরিশ্রম ও মেধার পরিচয় দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। কিন্তু প্রশাসনের দুর্বলতায় ক্রমেই এই বিশাল সবুজ চত্বরটি অনিরাপদ হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীদের জন্য। বহিরাগতদের অবাধ চলাফেরা, ক্যাম্পাসের ভেতরে উচ্চগতিতে বাইক নিয়ে বেড়ানো এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের সরব উপস্থিতি বেশ আতঙ্কের কারণ। বহিরাগতদের দ্বারা চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও শিক্ষার্থী লাঞ্ছনার ঘটনা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি এখন অঘোষিত এক পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে যেখানে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পিকনিকের বাস আসে এবং মাইকে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত-মনোরম ও পড়ালেখার পরিবেশের বিঘœ ঘটায়। তাছাড়া পিকনিকে আসা দর্শনার্থীরা অবাধে পরিবেশ নোংরা করা ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বাগান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছপালা ভাঙাসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করে। আর এসকল ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ লক্ষণীয় নয়। কৃষিশিক্ষার এই সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও ঐতিহ্যকে অক্ষুণœ রাখতে বিষয়গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ ও নজরদারি কামনা করছি।
জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ



 

Show all comments
  • abu hanif ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 0
    উক্ত চিঠি পত্র গুলোর দিকে সরকারের নজর দারী দেওয়া উচিৎ।কেননা উক্ত কার্যক্রম গুলো চলতে থাকলে আমাদের পরিবেশ নষ্ট হবে । ফলে আমদের সুন্দর পৃথিবী অসুন্দর হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন