পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানের মৃত্যুদন্ড যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কার্যকর করার প্রস্তুতি চলছে। কারাবিধি অনুসারে আমরা মৃত্যুদন্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পয়লা বৈশাখের নিরাপত্তা বিষয়ে বলেন, এখন পর্যন্ত পয়লা বৈশাখে কোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার হুমকি নেই।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুফতি হান্নানের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার সঙ্গে কোনো জঙ্গি হামলার হুমকি নেই। তিনি বলেন, প্রাণভিক্ষা চেয়ে মুফতি হান্নানের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ। এখন জেল কোড অনুযায়ী তার ফাঁসি কার্যকরের পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নববর্ষের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য পয়লা বৈশাখে সারাদেশে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।
সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে ঢাকায় নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদÐ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেন।
গত ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে গত ২২ মার্চ তাকে কারাগারে মৃত্যুদÐ বহাল রাখার রায় পড়ে শোনানো হয়।
শোভাযাত্রার বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরুর পর কেউ ঢুকতে পারবে না। এর কারণ হলো ভেতরে যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী ঢুকতে না পারে। নাশকতা করার জন্য যাতে কেউ না ঢুকতে না। সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে এবার পয়লা বৈশাখ উদযাপিত হবে।
তিনি বলেন, নববর্ষ পালনের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি কিংবা আশঙ্কার কথা বলা হয়নি। হুমকি আসুক আর নাই আসুক, আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় সে জন্য যারা শুরু করবেন তারা যাতে সুন্দরভাবে শেষ করতে পারেন সেই দিকে আমরা খেয়াল রাখছি।
শোভাযাত্রা নিয়ন্ত্রণে উৎসবের সমস্যা হবে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এতে উৎসবে কোনো ভাটা পড়বে না। আমরা মনে করি এটা বাঙালির প্রাণের উৎসব। এ উৎসব সর্বাত্মকভাবে পালিত হবে। এখানে কোনো ধর্ম, কোনো বয়সের বালাই নেই। এটা বাঙালির সার্বজনীন উৎসব। এই উৎসব ভালোভাবে পালনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি বোনাসও দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।