পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইএস এর দায় স্বীকার
ইনকিলাব ডেস্ক : মিসরে কপটিক খ্রিষ্টানদের দুইটি গির্জায় বোমা হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল নীল নিউজ এর খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এ দুটি হামলার ঘটনা ঘটে।
উত্তরাঞ্চলীয় তানতা শহরে সেন্ট জর্জ'স কপটিক চার্চ টার্গেট করে প্রথম হামলাটি হয় এবং বিস্ফোরণে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর কিছু সময়ের ব্যবধানে আলেকজান্দ্রিয়ায় বিস্ফোরণের খবর আসে। সেখানেও একটি গির্জার সামনে বিস্ফোরণ হয় এবং সেখানে কমপক্ষে ১৩ জন নিহন হয়েছেন যাদের মধ্যে চারজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করেছে। আইএস সংশ্লিষ্ট আমাক নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ‘ইসলামিক স্টেটের অংশ একটি দল মিসরের তানতা এবং আলেক্সান্দ্রিয়া শহরের দুইটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে।’
আলেক্সান্দ্রিয়ার গির্জায় হামলার সময় কপটিক গির্জার প্রধান পোপ তাওয়াদ্রোস (দ্বিতীয়) সেখানে একটি ম্যাসে অংশ নিচ্ছিলেন। তবে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী পোপ তাওয়াদ্রোস অক্ষত আছেন।
পোপের সচিব বলেন, একজন আত্মঘাতী হামলাকারী চার্চের বাইরে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
আর তানতায় প্রথম বিস্ফোরণ সম্পর্কে নীল নিউজকে প্রাদেশিক গভর্নর আহমদ দেইফ বলেন, হয় বোমাটি গির্জার ভেতর পেতে রাখা হয়েছিল অথবা কেউ আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে।
মাত্র এক সপ্তাহ পর কপটিক ইস্টার। এছাড়া এ মাসেই পোপ ফ্রান্সিসের মিসর সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। রোববারের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পোপ।
গত কয়েক বছর ধরে মিসরের সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা। গত বছরের ডিসেম্বরে কায়রোর এক কপটিক গির্জায় প্রার্থনা চলাকালীন এক বোমা বিস্ফোরণে ২৫ জন নিহত হয়েছিল।
তানতায় হামলার প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন ফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গির্জার হলে বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার পর কক্ষটি আগুন ও ধোঁয়ায় ভরে যায়। অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের অনেকের পেট থেকে নাড়িভূড়ি বেরিয়ে গেছে, অনেকের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং প্রধানমন্ত্রী শেরিফ ইসমাইলের সেন্ট জর্জ গির্জায় যাওয়ার কথা রয়েছে বলেও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়। এ হামলার পর সিসি জরুরি জাতীয় প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকও ডেকেছেন। সূত্র: নীল নিউজ, বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।