পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : ভূমিষ্ট হয়েই ডাস্টবিনে জায়গা হয়েছে নবজাতকের। শুধু তাই নয়, জন্মের পর শিশুকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে। গলায় রয়েছে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। তবে ভাগ্যের জোরে সেই নবজাতক শিশুটির জায়গা হয়েছে আরেক মায়ের বুকে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাস্টবিনে পাওয়া ওই নবজাতককে দত্তক নিতে এক দম্পতি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।
ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ জানান, শুক্রবার রাত ৯টায় মেকানিক আলমগীর মিয়া ফতুল্লা ডিআইটি মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন। হঠাৎ ডাস্টবিনের ভেতর থেকে শিশুর কান্না শুনে থমকে যান তিনি।
ডাস্টবিনে তল্লাশি করে একটি বাজারের চটের থলে থেকে সদ্য ভূমিষ্ট ওই নবজাতক কন্যাকে উদ্ধার করেন তিনি। তাকে প্রথমে থানায়, সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। আলমগীর হোসেন নিজেই নবজাতককে দত্তক নিতে একটি জিডি করেছেন বলে জানান সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের দোতলায় লেবার ওয়ার্ড-১-এর দায়িত্বরত চিকিসৎক জহিরুল ইসলাম জানান, শিশুটি খোলা আকাশের নিচে পড়েছিল। তাই ঠাÐা লেগে গেছে। ধারণা করছি শিশুটিকে জন্মের পর গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মারা গেছে মনে করে ডাস্টবিনে ফেলে গেছে।
তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল। গলায় অসংখ্য দাগ রয়েছে। তাই পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। আলমগীর ফোনে জানান, তিনি ফতুল্লা চৌধুরী বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার স্ত্রীর নাম লিপি বেগম। তিনি পেশায় একজন মেকানিক। তার একটি ছেলে সন্তান আছে। মেয়ে সন্তান না থাকায় তিনি নবজাতকটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেছেন।
তিনি আরও জানান, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই পুলিশ ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইনগত বিষয় সম্পন্ন করেছেন। শিশুটি অসুস্থ থাকায় এখন পর্যন্ত হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।