পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরী থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ১৪ দিন পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তারিকুল ইসলাম রনিকে পাওয়া গেল ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায়।
সেখানে অচেতন অবস্থায় তাকে পেয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়। গতকাল (রোববার) রনির বড় ভাই আনোয়ার হোসাইন রনিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে উল্লেখ করে পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রনিকে পাওয়া গেছে। তবে কারা তাকে সেখানে কি অবস্থায় ফেলে গেছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। রনি সুস্থ হলে পুলিশ তার বক্তব্য গ্রহণ করবে বলে জানান ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই পলাশ জানান, তিনিও রনিকে পাওয়ার কথা শুনেছেন। গতকাল রাত পর্যন্ত রনির সাথে তার সাক্ষাত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে পাওয়ার পর ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারব।
রনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের এমবিএ শিক্ষার্থী। গত ২৫ মার্চ নগরীর মুরাদপুর থেকে একদল যুবক রনিকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় রনির এক আত্মীয় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ দু’জনকে আটকও করে। তাদের মধ্যে একজন রনিকে অপহরণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এটি অপহরণের ঘটনা।
রনির দাদা আহমেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার বিকেলের দিকে অপরিচিত একজন ফোন করে বলে, রনি ঢাকার একটি হাসপাতালে আছে। তখন ওই ব্যক্তি তার নম্বরে যোগাযোগ করে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যেতে বলেন। আমরা হাসপাতালে গিয়ে রনিকে খুঁজে পাই। তিনি বলেন, আকাশ নামে ওই লোক রনিকে বিমানবন্দরে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে আমাদের খবর দেন। রনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। আর তাকে যারা তুলে নিয়েছে তারাও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।