Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট

| প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যকে গ্রিক দেবির মূর্তি অভিহিত করে তা অপসারণ চেয়ে হাইকোর্ট রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার মোহাম্মদ আরিফুর রহমান নামে এক ব্যক্তির পক্ষে জনস্বার্থে তার আইনজীবী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। আবেদনে ওই ব্যক্তি নিজেকে বিশ্ব বার্তা ২৪ ডটকম নামের একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পরে আবেদনকারী নিজেই সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিট আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে ধর্ম সচিব, আইন সচিব, গণপূর্ত সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও রেজিস্ট্রার, গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনের যুক্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন সংবিধানের ১২ ও ২৩ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এই দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান। ইসলাম মূর্তির উপাসনাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পাশেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান রয়েছে। এখানে মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। তাই এই মূর্তি অপসারণ চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে ‘গ্রিক দেবীর আদলে ওই ভাস্কর্য স্থাপন করে। চলতি বছরের প্রথম দিকে ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। এদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে সামনে ভাস্কর্য স্থাপনের প্রতিবাদে কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম, ওলামা লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন প্রধান বিচারপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি পালন করেছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের সার্কুলার প্রত্যাহার চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বাংলা নববর্ষ উদযাপন বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জারি করা সার্কুলার বাতিল চেয়ে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আহসান লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। গতকাল রোববার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আরিফুর রহমান নামে এক ব্যক্তির পক্ষে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
শিক্ষা সচিব, সংস্কতি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক বরাবরে পাঠানো হয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সার্কুলারটি বাতিল অথবা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে রিট দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ মার্চ সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাউশি থেকে একটি সার্কুলার পাঠানো হয়। যেখানে পহেলা বৈশাখে ইউনেস্কো ঘোষিত ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, পহেলা বৈশাখ বাঙলা বর্ষ গণনা থেকে শুরু হয়েছে। অথচ মঙ্গল শোভাযাত্রা সর্বপ্রথথম আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে যার নামকরণ করা হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।
মঙ্গল শোভাযাত্রাকে হিন্দু সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, হিন্দুরা যুদ্ধ দেবতা হিসেবে মঙ্গল পূজা করে, পূজায় ব্যবহৃত প্রদীপকে মঙ্গল প্রদীপ, হিন্দুদের বিবাহের প্রথম উৎসবকে বলা হয় মঙ্গলাচারণ। তাই পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানের ৪১ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করে সার্কুলারটি বাতিল চাওয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ