Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তার বিকল্প প্রস্তাব মমতার

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে নিজের অবস্থান মোটেও বদলাননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিস্তা চুক্তির বিরোধিতা অব্যাহত রেখে বরং জলঢাকাসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি নদীর পানিবণ্টনের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গতকাল নয়াদিল্লি সফররত বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ প্রস্তাব দেন মমতা ব্যানার্জি।
শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবন রাইসিলা হিলে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মমতা তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বাড়ির লনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সূত্র জানায়, শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের একপর্যায়ে মমতা ব্যানার্জিকে ডেকে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও ওই বৈঠকে যোগ দেন। সেখানেই মোদি তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তির বিষয়টি তোলেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতা ব্যানার্জি সাংবাদিকদের বলেন, তিস্তার সমস্যা নিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছেন। জানিয়েছেন, তিস্তায় কোনো পানি নেই। পানির অভাবে এনটিপিসির বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের জন্য পানি পেতে সমস্যা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গে তোর্সা, জলঢাকাসহ চারটি নদী আছে। সেখানে পানি আছে। ফলে তিস্তার বিকল্প হিসেবে এই চারটি নদীর পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
মমতা ব্যানার্জি বলেন, তিনি শেখ হাসিনাকে কলকাতা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, কলকাতায় বঙ্গবন্ধুর নামে ভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার হতে পারে। তাদের আলোচনায় দুই বাংলায় দুই দিন পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের বিষয়টিও উঠে আসে।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:২৮ পিএম says : 0
    সাবাস, ভারতের গণতন্রকে সাবাস। ভারত সরকার তিস্তা চুক্তি করতে চাচ্ছে, আর মমতা বিরুদ্ধে থেকে বিরুদ্ধিতা করছে। ভারত সরকার মমতার এই বিরুদ্ধিতাকে সন্মান করছে। মনমোহন ঢাকায় এসে সন্মানের সাথে মমতাকে ডেকে আনে। মোদি সরকার ও সসন্মানের সাথে মমতাকে সন্মানিত করছে। আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কেহ এমন বিরুদ্ধিতা করলে, তাকে জেল, গুম অথবা বন্দুক যুদ্ধে হত্যা করা হতো। দেশের আপাময় জনগণ তিস্তা চুক্তি ছাড়া এখন অন্য চুক্তি চায় না। তথচ সরকার এই দিগে ভ্রক্ষেপ না করে তিস্তা ছাড়া অন্য চুক্তি করছে। দেশের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তা করুন, জনগণের মতামতকে সন্মান দিন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৮:৫০ পিএম says : 0
    পানি চুক্তি নিয়ে এত কান্নাকাটি কিন্তু এর ফল আমরা কি পেয়েছে সেটা কি আমরা কেহ মানে বাংলাদেশের কোন বুদ্ধিজীবী ভেবে দেখেছেন??? আমার সন্দেহ আছে আর যদি ভেবেও থাকেন তাহলে চেপেগেছেন!!! যদি তারা ভাবতেন তাহলে অবশ্যই দেখতে পেতেন পদ্মার গভীরে কি হচ্ছে আর তখনই জাড়ি জুড়ি সবই শেষ হয়ে যেত। আমরা যতই চেচা মেচি করিনা কেন ভারত মানবে না ওরা ওদের চাওয়ার মধ্যেই থাকবে আর আমরা গদীতে বসার জন্য জনগণের মাথা বিক্রয় করে ভারতের চাহিদা পুরন করব, এটাই হয়েছে এটাই হচ্ছে আবার সামনেও এটাই হবে। আমরা আগে ভিক্ষুক ছিলাম তাই ভারতের খাজনার পরিমাণ ছিল কম এখন আমরা ভিক্ষুক নই তবে দিন আনি দিন খাই এটা আমাদের উন্নতী তাই ভারত তাদের খাজনা বাড়িয়েছে তাদের উন্নতির জন্য এতে দোষের কি আমার আয় বেড়েছে তাই খাজানো বেড়েছে তাইনা??? আমাদের প্রথমেই উচিৎ হবে এই জাতা কলের মধ্যেই থেকে জাতিকে শিক্ষিত করা ও দেশ প্রেমিক বানানো। যেটা নাকি ব্রিটিসের সময় হিন্দুরা করেছে, আবার ওরা স্বদেশী আন্দোলন মানে নিজের দেশের জিনিষ ছাড়া অন্যের দেশের জিনষ ব্যবহার করবে না এভাবে ব্রিটশকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের এখন সেই ভারতিয় ধারা স্বদেশী আন্দোলন শুরু করতে হবে এবং বিদেশী জিনিষ বর্জন করতে হবে। আমাদের দেশের রাজনীতি বিদরা ভারত খেদাও ভারত খেদাও বললে চলবে না...... ওরা আমাদের মনিব হয়েছে ১৯৭৫ সালে কাজেই মনিব কি কখনো প্রজাকে মুক্তি দেয়??? মুক্তি চাইলে পদ্ধতী আছে সেভাবে এগুতে হবে তাই আমাদেরকে ভারতবাসীর পুরনো ইতিহাস খুঁজে সেই পথে হাটতে হবে এবং জাতিকে মুক্ত করতে হবে। ব্রিটিশের কাছ থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম স্বদেশী আন্দোলনের মাধ্যমে আর পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। এসব ভাবলে দেখা যায় আমরা অশিক্ষিত তাই আমারা চেঁচামেচি করে নিজেদের আরো বারটা বাজাই। আসুন আমরা স্বদেশী আন্দলোন শুরু করি তাহলেই দেখবেন বাংলাদেশের নেতাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা শুরু হয়ে গেছে...... এখনও বলছি ওদেরকে (ভারতকে) গালী না দিয়ে ওদের শিক্ষা নিয়ে ওদেরকেই প্রত্যাখ্যান করি দেখবেন সবই ঠিক হয়ে গেছে। আল্লাহ্‌ আমাদের সহায় হউন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ