Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দ্রুতই তিস্তা চুক্তি হবে দুই প্র্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


বিশেষ সংবাদদাতা : হাসিনা-মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোনো সমাধান হয়নি। তবে দুই প্র্রধানমন্ত্রীই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, তারা দ্রুতই তিস্তা চুক্তির সমাধান করতে পারবেন। ভারতের প্র্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, তার এবং শেখ হাসিনার সরকার তিস্তা চুক্তির বিষয়টি দ্রæত সমাধান করতে পারবে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়টি ভারত দ্রæত সমাধান করবে। গতকাল (শনিবার) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে দুই প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমাদের দু’জনের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আমরা রাজি হয়েছি। তিস্তা চুক্তি, গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণ, পানি ব্যবস্থাপনার সমস্যা সমাধানে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়ার প্রত্যাশা রয়েছে আমাদের।
শেখ হাসিনার এই সফরে তিস্তার কোনো সুরাহা না হলেও বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত চুক্তিটির বিষয়ে নতুন আশা দেখিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  মোদি বলেন, আমাদের প্রতিশ্রæতি এবং অব্যাহত প্রচেষ্টা সম্পর্কে আমি আপনাকে (শেখ হাসিনা) এবং বাংলাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার ও আপনার সরকারই তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধানে পৌঁছতে পারবে। তিস্তা চুক্তি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলেও স্বীকার করে নেন মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হায়দ্রাবাদ হাউজে মোদির এই ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও, যার কারণে দুই দেশের এই চুক্তি ঝুলে আছে ছয় বছর ধরে। তিস্তার জট কাটানোর লক্ষ্যে মোদির উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে শীর্ষ বৈঠকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত করা হয়। খুলনা-কলকাতা বাস ও ট্রেন উদ্বোধনে তাকেও সঙ্গে রাখেন মোদি।
২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। এরপর ক্ষমতার পালাবদলে মোদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে এলেও এখনো তিস্তার জট খুলতে পারেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ