Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ভারতীয় সেনাদের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মাননা

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে যেসব ভারতীয় সেনা আত্মোৎসর্গ করেছিলেন তাদের প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে নয়াদিল্লির মানেকশ’ সেন্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করা ভারতীয় সেনার স্বজনদের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- ল্যান্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কা,  মেজর এ এস গাহলৌত, সুবেদার মালকাত সিং, নায়েক সুগন সিং, স্কোয়াড্রন লিডার এ বি সামন্ত ও লেফটেন্যান্ট সমীর দাস।  উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মোট ১ হাজার ৬৬৮ ভারতীয় শহীদকে সম্মাননা দিয়েছে। বাকি ১৬শ’ ৬২ শহীদের পরিবারকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ বছরের মাল্টিপল ভিসা (একাধিকবার যাতায়াতের সুযোগ) দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার রুপি করে দেয়ার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই  ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আমি এবং আমার দেশের জনতা মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সেই আত্মত্যাগের প্রতি স্যালুট জানাই।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছে। এর সঙ্গে আছে ভারতীয় শহীদদের রক্ত। তাদের আত্মত্যাগের কথা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্মরণ করা হবে।
মোদি তার বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশের জন্মের গল্পটিই অনেক আত্মত্যাগের গল্প। তিনি স্মরণ করেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে  গেলে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বাড়িতে (৩২ নম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার আটকা পড়ে, তখন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা মেজর অশোক তাদের উদ্ধার করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই দেশটির জিডিপি তার জন্মলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত ৩১ গুণ বেড়েছে, যা অনন্য সাধারণ এক অগ্রগতি।
মোদি আরো বলেন, ভারত তার প্রতিবেশীদের নিয়েই উন্নত হতে চায়, এগিয়ে যেতে চায়। প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধুত্ব সবসময়ই আমাদের কাছে বড় কিছু।
তিনি বলেন, আর এই সম্পর্ক সরকারে-সরকারে কিংবা নেতৃত্বের সাথে নেতৃত্বের নয়, এই সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সঙ্গে জনগণের। আর আমরা কোনো সুসময়ের বন্ধু নই। আমি যেমন আমার দেশের মানুষের শুভ চাই তেমনি বাংলাদেশসহ সকল প্রতিবেশী দেশের মানুষেরও সুন্দর জীবন কামনা করি।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের কথা তিনি উল্লেখ করেন, যারা বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মতো নয়, এই দেশ সন্ত্রাস লালন করে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ