পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যেসব চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই দাবি জানান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা চাইব, যা কিছু করছেন আপনারা, তা দেশের মানুষের কাছে প্রকাশ করতে হবে, আমাদেরকে জানতে দিতে হবে। এসব গোপন রাখলে চলবে না। প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতাসহ যেসব চুক্তি বা সমঝোতা আপনারা করছেন, আমাদের দেশের মানুষের জানার অধিকার আছে এই চুক্তিগুলোতে কি আছে, এই সব সমঝোতায় কি শর্ত আছে? দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো শর্ত আছে কি না? এটা জানার ও দেখার অধিকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের আছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমাদের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কোনো সমঝোতা দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আমরা তার বিরোধিতা করবো।
গতকাল দিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে প্রতিবেশী দুই দেশের ৩০টির মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র উদ্যোগে ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের দাবি এবং জঙ্গিবাদ দমনে করণীয়’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সমঝোতার বিষয়টি তুলে ধরে সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি সমঝোতা বা সমঝোতা করতে যাচ্ছে, এটা চুক্তি বা সমঝোতা একই কথা। বিকজ ইট ইজ এ কমিটমেন্ট বিউইন টু স্টেটস। সেজন্য বলব, এমন কিছু করবেন না, যাতে দেশের স্বার্থহানি ঘটে। আমাদের দেশের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোনো রকমের সমঝোতা দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এতে ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা যার বেশিরভাগ হবে ভারত থেকে যুদ্ধ সরঞ্জাম ক্রয় করার জন্য। এই অর্থ ভারত আমাদের ঋণ হিসেবে দেবে। ঋণ হিসেবে দেয়ার অর্থ হচ্ছে এটি সাপ্লায়ার্স ক্রেডিট, কোনো টেন্ডার হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে কেউ এটা কম্পিটমেন্ট করতে পারবে না। ভারত যা দেবেন, আমাদের সেটাই গ্রহণ করতে হবে। যে মূল্যে দেবেন, সেই মূল্যেই গ্রহণ করতে হবে।
আমি আশা করি, এমন কোনো শর্ত এই সমঝোতায় থাকবে না, যাতে করে আমাদের সেনাবাহিনী আরো দুর্বল হয়, তাদের দক্ষতা কমে যায়, তাদের সক্ষমতা কমে যায়। কোনো শর্ত এই সমঝোতায় থাকাটা উচিত হবে না।
আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা সমঝোতার কথা বলছি, সংলাপের কথা বলছি। আমরা আলাপ-আলোচনা করে দেশে যাতে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, যাতে জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পায়, আমরা একটা সমঝোতার মাধ্যমে এর সমাধান চাই।
যদি এই সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিএনপি, ২০ দল ও দেশের ১৬ কোটি জনগণকে নিয়ে আন্দোলনের কোনো বিকল্প থাকবে না।
দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য গণতন্ত্রহীনতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র নাই বলেই আজকে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান। গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন, জঙ্গিবাদ চলে যাবে। সেজন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধিশীল একটি সরকার।
আমরা বিএনপি যেকোনো ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিরোধী। এটা সব সময় বলে এসেছি। তাই সরকারকে আবারো বলব, দেশ থেকে যদি জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে চান, তাহলে এই সরকারের উচিত হবে এটাকে জাতীয় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সকল রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবী মহল সকলকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করা।
এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, জাগপা’র খন্দকার লুৎফর রহমান, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, কল্যাণ পার্টির শাহিদুর রহমান তামান্না, এনপিপি’র মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।