Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে ‘তদন্ত’ শেষে ফিরে গেল মালদ্বীপ পুলিশ

রাউধা আতিফের মৃত্যু

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে আত্মহত্যা’ করা মালদ্বীপের মডেল রাউধা আতিফের মৃত্যুর ‘তদন্ত’ শেষে সে দেশের দুই পুলিশ কর্মকর্তা দেশে ফিরে গেছেন। মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রিয়াজ ও জ্যেষ্ঠ পরিদর্শক আলী আহমেদ। গত সোমবার তারা রাজশাহী আসেন। এরপর গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তারা রাউধার লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, রাজশাহী পুলিশ, রাউধার সহপাঠি, শিক্ষক এবং হোস্টেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
রাউধার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তা দেশে ফিরেছেন। তারা কিছু বিষয় আমাদের জানিয়ে গেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখন সেগুলো প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
তারা লিখিত কোনো প্রতিবেদন দিয়ে গেছেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন লিখিত নয়, তারা লিখিত কোনো প্রতিবেদন দিতে চাইলে দূতাবাসের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিতে হবে।’ প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানায়, রাউধা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় ওই দিনই কলেজ কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে শাহমখদুম থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
তার মৃত্যুর পর লাশ দেখতে রাজশাহী আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আয়েশাথ শান শাকির এবং মা-বাবাসহ আট নয় স্বজন। গত ৩১ মার্চ মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রাউধার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। রাউধা আত্মহত্যা করেছেন উল্লেখ করে ওই দিনই বোর্ড ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। পরে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রাজশাহীতে রাউধার দাফন সম্পন্ন হয়। এরপর গত বুধবার রাউধার মা আমিনাথ মুহাররিমাথ ও ছোট ভাইসহ চারজন দেশে ফিরে যান। তবে বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফসহ বাকিরা এখনও আছেন রাজশাহীতে।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আত্মহত্যা বলা হলেও ডা. মোহাম্মদ আতিফ বলছেন, তিনি একজন চিকিৎসকের চোখে তার মেয়ের লাশ দেখেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আর এ জন্য তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি থানায় কোনো মামলা করেননি বলে জানিয়েছেন নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
ওসি বলেন, ‘থানায় একটা অপমৃত্যুর মামলা আছে। সেটার তদন্ত চলছে। আমরা নতুন করে এজাহার চাইছি না। আমরা চাইছি প্রমাণ। রাউধার পরিবারের কাছে হত্যার কোনো প্রমাণ থাকলে আমাদের দেয়া হোক। আমরা যথাযথভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করবো। তারপরেও আরেকটি মামলা হলে নতুন মামলার এজাহার আগেরটির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ