Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে দুই ইঞ্জিনের সংঘর্ষ : বরখাস্ত ২

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে প্রবেশের সময় আরেকটি ইঞ্জিনের সঙ্গে সংঘর্ষে উভয় ইঞ্জিনের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল (শনিবার) ভোর পৌনে ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে দুইজন ট্রেন চালককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি গতকাল ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছে। স্টেশনে প্রবেশের সঙ্কেত পেয়ে সামনের দিকে আসতে থাকে বিজয় এক্সপ্রেস। এ সময় সিগন্যাল ওভারশুট করে স্টেশন থেকে বেরিয়ে এলে শান্টিং ইঞ্জিনের (ট্রেনের ইঞ্জিনকে স্টেশন থেকে লোকোশেডে টেনে নেয়ার কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে যায় শান্টিং ইঞ্জিনের বাফার।
রেলের কর্মকর্তারা জানান, বিজয় ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে। গতি বেশি থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যাত্রীরাও আহত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সংঘর্ষের ঘটনার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে দায়িত্বরত শান্টিং ইঞ্জিন চালকদের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা। জানা গেছে, শান্টিং ইঞ্জিনে একজন লোকো মাস্টার (এলএম) ও একজন সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু গতকাল ভোরে শান্টিং ইঞ্জিনে দায়িত্ব পালন করেছেন কেবল একজন এএলএম।
এ ঘটনায় দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) মনজুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বরখাস্তকৃতরা হলেনÑ শান্টিং ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার মাসুদুর রহমান ও সহকারী লোকো মাস্টার আব্দুল করিম তালুকদার।
তদন্ত কমিটি
দু’টি ইঞ্জিনের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মিয়া হাজানকে প্রধান করে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করেন রেলের মহাপরিচালক মো: আমজাদ হোসেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন প্রধান প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) মনজুরুল ইসলাম চৌধুরী ও প্রধান সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মঈনুল ইসলাম।
অন্যদিকে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফিরোজ ইফতেখারকে প্রধান করে বিভাগীয় পর্যায়ে আরেকটি কমিটি গঠন করেন বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই কমিটির অপর দুই সদস্য হলোÑ বিভাগীয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিএমই) সাইফুল ইসলাম ও বিভাগীয় সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী মো: সেলিম। উভয় কমিটিকে দ্রæততম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। উভয় কমিটি আজ রোববার থেকে তদন্ত কাজ শুরু করবেন বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ