পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে হিন্দু স¤প্রদায়ের মূর্তির মঙ্গল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ। সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে গ্রীক মূর্তি অপসারণ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের চক্রান্ত এবং ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধের দাবিতে আওয়ামী ওলামা লীগ ও ১৩ দল নেতৃবৃন্দ গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তির মেলা, মঙ্গল শোভাযাত্রা কিংবা সূর্যবন্দনা, ‘মঙ্গলপ্রদীপ, মঙ্গল কাব্য প্রতিটি অনুষ্ঠানিকতা পুরোপুরি হিন্দুদের বিশ্বাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাহলে কি করে এই সকল অনুষ্ঠান অসা¤প্রদায়িক হয়? হিন্দুদের সংস্কৃতি কিভাবে বাঙালী সংস্কৃতি হয়? এই সা¤প্রদায়িক সংস্কৃতিকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্তি করতে সংস্কৃতি মন্ত্রী কিভাবে আবেদন করে? সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ৯৮ ভাগ মুসলমানের উপর চাপিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য কী? সংস্কৃতি মন্ত্রী কি হিন্দুদের সংস্কৃতিকে লালন করে সরকারের অসা¤প্রদায়িক চেতনায় আঘাত হানতে চান? জামায়াত-জোট, হেফাজতের হাতে ইস্যু তুলে দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চান? অবিলম্বে বিতর্কিত ও সা¤প্রদায়িক এ সিদ্ধান্ত তথা দেশব্যাপী মঙ্গল শোভাযাত্রা পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অসা¤প্রদায়িকতার আড়ালে সা¤প্রদায়িকতা লালন করা বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, মাতৃভাষা বাংলা মুসলমানদের ঈমানের অঙ্গ। কিন্তু মাতৃভাষা দিবসে ইউনেস্কোর ভিডিওতে বাংলাভাষাকে জায়গা দেয়া হয়নি। অথচ ইউনেস্কো হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ওলামা লীগের সভাপতি বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু মুসলমান অভিভাবক আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন তাদের স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের জোর করে হিন্দুত্ববাদী অমঙ্গল শোভাযাত্রায় বাধ্য করে বেঈমান করার কর্মসূচি চাপিয়ে দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ক্ষুব্ধ করা হচ্ছে। এতে করে মুসলমানরা সরকারের উপরও নাখোশ। এ সুযোগ নিতে পারে বিএনপি-জামায়াত জোট। এ কারণে সামনে নৌকার সমর্থন কমে যাবে। তাই আওয়ামী লীগের সমর্থন অব্যাহত রাখতে ওলামা লীগ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দাবিসমূহ নিয়ে কথা বলছে।
বক্তাগণ বলেন, ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাপক প্রচারণা দিয়ে বর্তমান সরকারকে হিন্দুত্ববাদী বলে প্রচার করার ষড়যন্ত্র চলছে। পাশাপাশি পহেলা বৈশাখ পালন করলে মুসলমানিত্ব যায় না- ইনু ফতওয়া দিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন ও মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। ইসলামে বাংলা-ইংরেজী-আরবী কোন নববর্ষ পালনেরই অনুমতি নেই। মাতৃভাষা বাংলা মুসলমানদের ঈমানের অঙ্গ। কিন্তু মাতৃভাষা দিবসে ইউনেস্কোর ভিডিওতে বাংলাভাষাকে জায়গা দেয়া হয়নি। অথচ ইউনেস্কো হিন্দুদের আচার অনুষ্ঠান মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটা কোন মুসলমান মানতে পারে না।
তারা বলেন, মূর্তি বা প্রাণীর যেকোন ভাস্কর্য ইসলামে হারাম। সরকারকে অস্থিতিশীল করার গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়নে দেশের সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে গ্রীক মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। দেশের সংবিধান ও মুসলিম সংস্কৃতিবিরোধী গ্রীক দেবীর মূর্তি অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, জঙ্গিরা মুরতাদ এবং দুনিয়াতেই প্রকাশ্য জাহান্নামী। তাদের জানাযা পড়া হারাম এবং লাশ দাফন করাও হারাম। তাদের লাশ কোনো কবরস্থানে দাফন না করে মাটি গর্ত করে কুকুর, শৃঙ্গালের মতো পুতে ফেলতে হবে এবং এসব কথা জাতীয়ভাবে প্রচার করতে হবে।
রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে হাইকোর্টের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল রাখার দাবি করেন নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, সরকারবিরোধী, উগ্র মৌলবাদী হিন্দুদের চক্রান্তে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করে জামায়াত-জোট, হেফাযতের হাতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ইস্যু তুলে দেয়া যাবে না। রাষ্ট্রধর্ম বাতিলের সিদ্ধান্ত ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান কখনো মেনে নিবে না।
তারা পারিবারিক বন্ধন ও শান্তি ধ্বংসকারী, কিশোর অপরাধী তৈরীকারী, আত্মহত্যা ও হত্যায় উদ্বুদ্ধকারী, ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি সৃষ্টিকারী স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস, সনি টিভি, জিটিভি, জি’সিনেমাসহ সব ভারতীয় টিভি চ্যানেল অবিলম্বে নিষিদ্ধের দাবি করেন। দেশের কোন মসজিদ-মাদরাসা এবং অধিকাংশ ধর্মপ্রাণদের বাসাসহ ২ কোটি কৃষক-শ্রমিকের বাসায় টিভি নেই। তারা জঙ্গি নয়। তাই ‘বাসায় টেলিভিশন না থাকা জঙ্গির আলামত, একথা প্রত্যাহার করতে হবে। জঙ্গি দমনে গোয়েন্দা সংস্থার লোকবল বৃদ্ধিসহ প্রশিক্ষণ দিয়ে আরো দক্ষ করতে হবে।
আমেরিকা, ভারত, ইসরাইল ও চীনসহ সারা বিশ্বে যেখানে মুসলমানদের উপর অত্যাচার চলছে তার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস এবং প্রয়োজনে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
জঙ্গিবাদের নামে ইসলামে সন্ত্রাসবাদ হারাম। কানাডার আদালতে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণিত বিএনপির বিরুদ্ধে অবিলম্বে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কানাডার আদালতে প্রমাণিত পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী, গরীবের রক্তচোষা সুদখোর ড. ইউনূসের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।