পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভবিষ্যতে শিল্পোদ্যোক্তা হতে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার, লালমনিরহাট থেকে : শিক্ষার্থীদের ব্যয় সংকোচন করার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় করে বড় পুঁজি দাঁড় করিয়ে ভবিষ্যতের শিল্পোদ্যোক্তা হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের অনুপ্রানিত করেন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান। গতকাল লালমনিরহাটের জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে স্কুল ব্যাংকিং সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ১২টি সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের অংশগ্রহণে মেলা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় যাতে লিড ব্যাংকের ভূমিকায় ছিল রূপালী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, জেলা প্রশাসক আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মো. মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রংপুর অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবু অশরাফ নূর, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট একেএম কামরুল হাসান বকুল ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আজিজুল হক বীরপ্রতীক। এসময় রূপালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো.কাইসুল হক ও হাসনে আলম সহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রূপালী ব্যাংকের রংপুর বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আমীর হামজা।
সফুরা বেগম এমপি তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের প্রচলিত হারের চেয়ে বেশি মুনাফা দেয়ার জন্য আমি রূপালী ব্যাংক এমডি আতাউর রহমান প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে ৯ শতাংশ হারে মুনাফা দেয়ার চেষ্টা করা হবে। তাই তোমরা অযথা অর্থ ব্যয় না করে এখন থেকেই সঞ্চয়ী হয়ে ভবিষ্যতের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠো। রূপালী ব্যাংকের স্কুল ব্যাংকিং হিসাব তোমাদের ভবিষ্যদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে।”
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি বলেন, “মাত্র ১৩ লাখ শিক্ষার্থী স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলায় ১১শ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে। সারাদেশে স্কুল ব্যাংকিং মেলার মাধ্যমে যদি সব শিক্ষার্থীদের এই হিসাব খোলানো যায়, তাহলে যে পরিমাণ টাকা সঞ্চয় হবে তাতে ভবিষ্যতে এই শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কোন অর্থের সংকট হবে না, কারো কাছে হাত পাততে হবে না।”
বাংলাদেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সবাইকে স্কুল ব্যাংকিং সেবার বিস্তারে এগিয়ে আসার আহŸান জানান।
স্বাগত বক্তব্যে রূপালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধান শিক্ষার্থীদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলার আহŸান জানিয়ে বলেন, “একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ৫০ টাকা করে স্কুল ব্যাংকিং হিসাবে জমা করে তাহলে শিক্ষাজীবন শেষে তার পক্ষে মিলিয়নিয়ার হওয়া সম্ভব। আমি চাই, শিক্ষাজীবন শেষে ওই টাকা দিয়ে তোমরা শিল্পদ্যোক্তা হবে। এই টাকা দিয়ে তোমরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তাছাড়া তোমাদের পিতা-মাতাও তাদের জরুরী প্রয়োজনে এই হিসাব থেকে ঋণ নিতে পারবেন।”
লালমনিরহাটে শিল্পের বিকাশে সর্বেচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে রূপালী এমডি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সবসময় উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন। এখানে গ্যাস না থাকায় জ্বালানী ব্যয় অনেক বেশি। যে কারণে লালমনিরহাটে শিল্পের বিকাশ হচ্ছে না। সরকারের নিকট আমার দাবি থাকবে, এখানকার উদ্যোক্তারা যেন গ্যাসের দামে বিদ্যুত পায়।”
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ পরিচালক মুহাম্মদ এহসানুল কবির শিক্ষার্থীদের আর্থিক শিক্ষা ও স্কুল ব্যাংকিং বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। মেলায় রূপালী ব্যাংকের স্টলে ৫ শতাধিক স্কুল ব্যাংকিং হিসাব খোলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।