পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল (শনিবার) রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ নির্মল সেন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাসদের কেন্দ্রীয় রাজেকুজ্জামান রতন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময়, সংগঠনের মহাসচিব অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইসরাত হাসান, প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সদস্য আফজাল হোসেন, মো. রেজাউল করিম প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা অনেক সুফল ভোগ করি। যেমনÑ রাজন হত্যা, সিলেটের খাদিজার উপর হামলাসহ অনেক প্রান্তিক জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে শক্ত হয়েছে। আবার নাসিরনগরের হামলা, রামু হামলা, বøগার হত্যার মতো বিষয়গুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রচারের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মধ্যে অন্যতম ফেসবুক আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রকৃতপক্ষে কতজন ফেসবুক ব্যবহার করে তার প্রকৃত হিসাব সরকার বা বিটিআরসির (টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা) কাছে নেই। ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কোনো ডকুমেন্টের প্রয়োজন না হওয়ায় বর্তমানে ৭৫ শতাংশই ফেইক (ভুয়া)।
সংগঠটির পক্ষ থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে রাজস্ব না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে বলা হয়, ফেসবুক ব্যবহার ফলে অপারেটর, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ, সাধারণ জনগণ ও ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু সকল ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ হলেও সরকার এ খাত থেকে কোনো রাজস্বই পায় না। শুধু ইন্টারনেট ডাটা বিক্রির রাজস্ব পেয়ে থাকে। অন্যদিকে এই মাধ্যমের অপব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সামাজিক নিরাপত্তা ও তরুণ প্রজন্মের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে। এতে সমাজ ও সরকারও ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুক বন্ধ করা (রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত) নিয়ে জনমত যাচাই এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার পক্ষে নই। আমরা চাই প্রযুক্তি নিরাপত্তায় আরো দক্ষ কারিগরি জ্ঞানার্জন বিশ^ পরিমÐলে আমাদের যোগাযোগ স্থাপন, গবেষণাধর্মী চিন্তা ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষম হয়ে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে এর অপব্যবহার রোধ করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।