পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : সর্বসাধারণের যাতায়াতে খুলনা-কলকাতা রুটের সৌহার্দ্য বাস এবং মৈত্রী ট্রেনে নিয়মিত চলাচলের সময় এখনো নির্ধারিত হয়নি। নির্ধারণ করা হয়নি এখনো ভাড়াও। সার্ভিস দু’টি সচল থাকলে দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অভ‚তপূর্ব উন্নত হবে। ফলে দ্রæততম সময়ের মধ্যে সার্ভিস দু’টি সক্রিয় করার দাবি এ অঞ্চলের মানুষের।
খুলনা-ঢাকা-কলকাতা রুটে শনিবার সরাসরি সৌহার্দ্য বাস সার্ভিসের উদ্বোধন হয়েছে। বাংলাদেশের গ্রিন লাইন পরিবহনের একটি বাস এ রুটে চলাচল করবে। গত শুক্রবার দুপুরে খুলনা থেকে বাসটি কলকাতায় যায়। পরে শনিবার দুপুরে কলকাতার সল্টলেক আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনালে এ বাসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব চন্দন কুমার দে বেনাপোল চেকপোস্টে সাংবাদিকদের জানান, বাসটি চলবে ঢাকা-খুলনা-কলকাতা রুটে। এই রুটে ‘ভারতীয় ভূতল পরিবহন নিগম’ আর বাংলাদেশের বিআরটিসি’র পক্ষে ‘গ্রিন লাইন পরিবহন’ বাস পরিচালনা করবে। এর ফলে শুধু ঢাকা বা ওই এলাকা নয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিপুলসংখ্যক অধিবাসী উপকৃত হবেন। রোগী ও বৃদ্ধরা সরাসরি বাসে করে কলকাতায় চিকিৎসাসহ সব ব্যবসায়িক কাজে সুবিধা পাবেন।
বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, কলকাতা-খুলনা সরাসরি বাস সার্ভিস চালু আছে। কলকাতা-খুলনা-ঢাকা হলো এ ধরনের চতুর্থ সরাসরি বাস সার্ভিস।
গ্রিন লাইন পরিবহন খুলনার ম্যানেজার মোঃ রাকিব হোসেন বলেন, বাণিজ্যিকভাবে কবে থেকে নিয়মিত বাসটি চলাচল করবে, সে সব বিষয় এখনও কিছু জানানো হয়নি। ভাড়াও নির্ধারণ হয়নি। শুধুমাত্র শনিবার বাসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় কলকাতার সল্টলেকে। পরে বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম চালানো হবে। বাসটি শনিবার রাতে খুলনায় পৌঁছায় বলে তিনি জানান।
মৈত্রী ট্রেন সার্ভিস সম্পর্কে বাংলাদেশ রেলওয়ে রাজশাহীর চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ম্যাকানিক্যাল) মোঃ ইফতেখার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন পর এ রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হল। তবে এখনই সাধারণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে না। এখনও বেশ কিছু কাজ বাকী রয়েছে। যারমধ্যে ভাড়া নির্ধারণ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন, দূরত্ব, কোন কোন স্টেশনে থামবে ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। একই সঙ্গে যাত্রী চাহিদার ওপর সপ্তাহে কতদিন ট্রেনটি চলবে সেটি নির্ধারণ করা হবে। এক মাসের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন হবে। এসব বিষয় ঠিক হওয়ার পর শিগগিরি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেনটি চলাচল শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ জামানায় খুলনা ও কলকাতার মধ্যে সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু ছিল। ১৯৭৪ সালে লোকসানের মুখে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় এ ট্রেন সার্ভিসটি। এরআগে ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ও বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। ১৮৬৪ সালের ১ ফেব্রæয়ারি খুলনা-কলকতা রুটে ট্রেন সার্ভিস চালু হয়েছিল।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, খুলনাবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ট্রেন ও বাস সার্ভিস পুনরায় চালু করায় সরকারকে অভিনন্দন। সার্ভিস দু’টি নিয়মিত চালু না করলে সাধারণ মানুষ এর সুফল পাবে না। যতদ্রæত সময়ের মধ্যে সার্ভিস দু’টি নিয়মিত চালু করা যাবে ততোই দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অভ‚তপূর্ব উন্নত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।