Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পর্কের নতুন উচ্চতার প্রত্যাশা

দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সহযোগিতার সম্পর্ক ‘নতুন উচ্চতায়’ নিয়ে যাওয়ার সফরে দিল্লি পৌঁছে বিমানবন্দরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরে ভারতের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিন ডজন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ আকাশ প্রদীপ গতকাল (শুক্রবার) স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৫ মিনিটে নয়া দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছায়। শেখ হাসিনা বিমানের সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলে নরেন্দ্র মোদী তার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে করমর্দন করেন। তারা দু’জনে কুশল বিনিময়ের পর শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মোদী সরকারের বাঙালি প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর শেখ হাসিনাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন মোদী। বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় রাইসিনা হিলে ভারতের প্রেসিডেন্ট ভবনে। দিল্লিতে অবস্থানকালে সেখানেই থাকবেন তিনি।
সফরসূচি অনুযায়ী বাবুল সুপ্রিয়রই বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল। কিন্তু সৌহার্দ্যের নজির হিসেবে মোদী নিজেই বিমানবন্দরে হাজির হয়ে হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান, যাকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বর্ণনা করেছেন ‘একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনা’ হিসেবে। আর শেখ হাসিনার হাতে ফুল তুলে দেওয়ার ছবি টুইট করে মোদী লিখেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে পেরে তিনি আনন্দিত। পরে আরেক টুইটে মোদী বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমি সংকল্পবদ্ধ। চার দিনের এই সফরের প্রাক্কালে শুক্রবার ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দুতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ভারতের জনগণের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
তিনি সেখানে বলেন, “আমি আশা করি, এই সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।” তৃতীয় দফায় বাংলাদেশের সরকার প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই ভারতে শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের বছরের ১৯ অগাস্ট ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জির শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গত অক্টোবর গোয়ায় গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে এই দুটির কোনোটিই দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না। ভারতের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল বৃহস্পতিবার একদল বাংলাদেশী সাংবাদিককে বলেন, আমরা সবাই আগ্রহ নিয়ে ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছি। এই বৈঠক আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, গত তিন বছরে দুই দেশের আন্তঃসম্পর্কের উন্নয়নে ‘নজিরবিহীনভাবে’ সহযোগিতার সুযোগ স¤প্রসারিত হয়েছে। আমাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা রয়েছে। ১৯৭১ সালের পর কখনও দুই দেশের মধ্যে এমন আস্থা ছিল বলে আমার মনে হয় না।
সফরসূচি:
শুক্রবার সকাল ১০টা ১০ এ ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বেলা ১২টার পর দিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত, সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ অসামরিক-সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
চার দিনের সরকারি সফরে শেখ হাসিনা থাকবেন নয়া দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট ভবনে, ভারতের কূটনীতিকদের দৃষ্টিতেও যা বিরল ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট ভবনে থাকবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রেসিডেন্ট ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। সন্ধ্যায় নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের দেওয়া অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার সকালে প্রেসিডেন্ট ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা দেওয়া হবে। পরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন শেখ হাসিনা। এরপর হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক এবং পরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
দুই দেশের মধ্যে প্রায় তিন ডজন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী হিন্দি ভাষায় ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর’ মোড়ক উন্মোচন করবেন। তবে দুই দেশের সরকার প্রধান যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সবশেষে শেখ হাসিনা তার সম্মানে মোদীর দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।
শনিবার বিকালেই মানেক শ সেন্টারে মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন হাসিনা। ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও তার সাক্ষাতের সূচি রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী রোববার আজমির শরীফ যাবেন। সেখান থেকে দুপুরেই দিল্লি ফিরবেন এবং বিকালে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রেসিডেন্ট ভবনে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।

পরে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। রাতে প্রেসিডেন্ট ভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
সোমবার সকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনায় অংশ নেওয়ার পর হোটেল তাজমহলে ব্যবসায়ীদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সফর শেষে সেদিন বিকালেই রওনা হবেন দেশের পথে।
তিন ডজন চুক্তি
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা, প্রযুক্তি, পরমাণু বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগড়ায় আটকে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এখনও কোনো অগ্রগতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে এর সুরাহা হওয়ার আশা নেই বললেই চলে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বলেন, “আমি আপনাদের বিভ্রান্ত করতে চাই না। সত্যি বলতে আমার কাছে এই মুহূর্তে এমন কোনো কিছু নেই যাতে মনে করতে পারি, আগামী দুই দিনে নাটকীয় কিছু হতে পারে।”
তবে কিছুটা আশার কথা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে মমতার, যা তিস্তা নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই জট খুলতে সময় লাগবে বলে মনে করেন ঢাকায় ভারতের সাবেক হাই কমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী। তবে তাতে দুই দেশের সম্পর্কের অন্যান্য দিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মনে করেন তিনি।
অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে তিস্তাকে ছাপিয়ে গেছে সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি না সমঝোতা স্মারক সই হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর দুদিন আগের সংবাদ সম্মেলনে। অন্যদিকে দেশের স্বার্থ ক্ষুণœ করে এমন চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তুলেছে বিএনপি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যতটা দিচ্ছে, ভারত ততটা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ দলটির। কী ক্ষেত্রে কোন চুক্তি, তা স্পষ্ট না করলেও শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের স্বার্থ ক্ষুণœ করে কিছুই করবেন না তিনি।
সফরসঙ্গী সাড়ে তিনশ’
এবার প্রধানমন্ত্রীর ৩৫০ জন সফরসঙ্গীর মধ্যে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতির নেতৃত্বে ২৫৭ সদস্যের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক আগেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো.আমিনুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জাফর আহমেদ খান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, রেলপথ সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো.সিরাজুল হক খান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ, নৌ-পরিবহন সচিব অশোক মাধব রায়, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহমুদ রেজা খান, জ্বালানি সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো.জহিরুল হক, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব কাজী শফিকুল আলম এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু।
২৫৭ ব্যবসায়ীদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, প্রথম সহ-সভাপতি শফিউল আহমাদ, চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শেখ ফজলে ফাহিম এবং মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নিহাদ কবীর প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।
রাজনীতিবিদের মধ্যে সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহও রয়েছেন।
শেখ হাসিনা-সুষমা বৈঠক
দিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁদের বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সরকারি সফরে দুপুরে দিল্লির পালামের ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে শেখ হাসিনাকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে রাষ্ট্রপতি ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। -সূত্র: ডিএনএ



 

Show all comments
  • রিফাত ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১:১৭ পিএম says : 0
    সম্পর্ক কখনও এক তরফা হয় না।
    Total Reply(0) Reply
  • নিজাম ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১:২২ পিএম says : 0
    সম্পর্কটা গোক বন্ধুত্বে, দাদাগীরির নয়
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজ ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১:২২ পিএম says : 0
    সবার আগে নিজের দেশের স্বার্থের কথা ভাবতে হবে তারপরে বন্ধুত্ব।
    Total Reply(0) Reply
  • akas Ahmad ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:২১ পিএম says : 0
    স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোন চুক্তি মানা হবে না ,
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ৫:৩২ পিএম says : 0
    আমি সংবাদটা পাঠ করার পর মনে পরে যায় ২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাশে হাসিনা প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার পর লতিফ আলী তার জীবনের নিরাপত্তার কথা বলে যে বলয়ের সৃষ্টি করেছিল সেই কথাটাই আজ আমার বার বার মনে পড়ছে তাই সবার সাথে ভাগা ভাগী করলাম। দেশের সর্বনাশ যা করার সেটা .......দের শিক্ষায় আগেই করে রেখেছে কূটনীতিবিদরা এখন শেষ মূহুর্তে সেটা প্রকাশ করে দোষ গুলো রাজনীতি বিদদের ঘাড়ে চাপিয়ে ফয়দা লুটছে বেঈমান বাংলাদেশী কুটনীতিবিদ গন। আমি এদেরকে ভুলেও আজ ৩০ বছর বিদেশে থেকে কখনও এরা বাঙ্গালী বলিনি এবং আর জীবনের বাকি কয়টা দিনও আমি এদেরকে কখনো বাঙ্গালী বলে জাতিকে কলঙ্কিত করতে চাইনা। আল্লাহ্‌ বাংলাদেশের মুসলমানদের সত্য কথা বলার প্রবণতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ