পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল অফিস : দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেনাপোল চেকপোস্ট হয়ে খুলনা-কলকাতা রুটে আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন ও যাত্রীবাহী বাস সার্ভিস চালু ও ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হচ্ছে আজ (৮ এপ্রিল)। দু’দেশের মধ্যে মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য ও যাত্রীসেবা বাড়াতে এই বাস সার্ভিসও দ্বিতীয় মেত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু হচ্ছে । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করবেন। আজ খুলনা-কলকাতা ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হলেও যাত্রী পরিবহন শুরু হতে আরও অয়েকদিন লাগবে।
বেনাপোল রেল স্টেশনে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকসহ রেলের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের জি এম খায়রুল আলমসহ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। রেলপথমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। রেলসংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, ৮ এপ্রিল খুলনা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ট্রেন কলকাতার উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিক যাত্রা করবে। পরে ওই ট্রেনটিই ফিরবে কলকাতা থেকে। খুলনা এবং কলকাতায় রেলস্টেশনে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী ট্রেন চালানোর যাবতীয় অবকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। বেনাপোল এবং ওপারের পেট্রাপোলে নতুন করে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও রেলপুলিশের জন্য কক্ষ নির্মাণ। বেনাপোলে নির্মাণে ব্যয় করা হয় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় হাইকমিশনার সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে রেল যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ আন্তর্জাতিক ট্রান্স-এশিয়ান রেলরুটে অন্তর্ভুক্ত হবে বাংলাদেশ। রেলপথে পণ্য আমদানি-রফতানি সুবিধাসহ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী বগি ও ইঞ্জিনস্বল্পতার কারণে শুরুতে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারতীয় ইঞ্জিন ও রেক দিয়ে চলাচল করবে। ট্রেনটি উদ্বোধন হলে খুলনা-কলকাতা ১৫০ কিলোমিটার রেলপথ মাত্র ৩ ঘণ্টায় চলাচল সম্ভব হবে। এটি খুলনা-যশোর-বেনাপোল-পেট্রাপোল-বনগাঁ হয়ে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছবে। উদ্বোধনের পর থেকে দ্বিতীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে ১ দিন চলাচল করবে। পরে ট্রিপ বাড়ানো হবে। তিন ঘণ্টার মধ্যে ব্যবসায়ী, পর্যটক, রোগী কলকাতায় পৌঁছাতে পারবেন। দু’দেশের মানুষ যাতে আরও অল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও নিরাপদে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারেন সেলক্ষ্যে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান জানান, প্রথমাবস্থায় যশোর জংশন, বেনাপোল ও নওয়াপাড়া স্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে যাত্রীরা এই ট্রেনে চড়তে পারবেন না। পরে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে ট্রেনের ট্রিপ ও স্টেশন সংখ্যা বাড়ানো হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতির পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট কাটার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার শাহিদুর রহমান জানান, খুলনা স্টেশন থেকে যাত্রীরা ট্রেনে চড়ে বেনাপোল পৌঁছানোর পর বেনাপোল রেলস্টেশনে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাউন্টারে যাত্রীদের পাসপোর্ট ও ব্যাগেজ তল্লাশির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন শেষে করে ভারতে যাবে।
কলকাতা-খুলনা-ঢাকার মধ্যে নতুন যাত্রীবাহী বাস পরিসেবার শুভ উদ্বোধন হচ্ছে ৮ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায়। ভারতের দিল্লি থেকে এই পরিসেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঢাকা-খুলনা-কলকাতা রুটে নতুন যাত্রীবাহী বাস সৌহার্দ্য গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছেছে।
বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব চন্দন কুমার দের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ২২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গ্রিন লাইনের এ বাসটি পৌঁছালে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ. সালামসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিনিধি দলকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
দিল্লিতে এই নতুন বাস পরিসেবার উদ্বোধনের পরপরই কলকাতার রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য দু’টি বাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই বাস দু’টি কলকাতা থেকে ছাড়বে খুলনা-ঢাকার উদ্দেশ্যে। এই বাস কলকাতা-বেনাপোল-যশোর-খুলনা হয়ে মাওয়ার পথে পদ্মা নদীর ফেরি পার হয়ে ঢাকা পৌঁছাবে। তবে এর আগে গত বছরের ৩০ আগস্ট এই পরিসেবা চালুর লক্ষ্যে কলকাতা-খুলনার মধ্যে পরীক্ষামূলক বাসযাত্রার সূচনা হয়েছিল।
কলকাতায় শ্যামলী যাত্রী পরিবহনের কর্ণধার অবনী ঘোষ বলেন, রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে এই বাস পরিসেবা উদ্বোধনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শুরু হবে শনিবার বেলা ১১টায়। থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কসহ বিশিষ্টজনেরা। এরপর দিল্লি থেকে এই বাস পরিসেবার শুভসূচনা ঘোষণার পর কলকাতা থেকে খুলনা হয়ে ঢাকার পথে ছাড়বে অত্যাধুনিক দু’টি ভলবো বাস।
১৯৯৮ সালে প্রথম ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছিল। এখনো এই বাস রোববার ছাড়া প্রতিদিনই চলছে ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে। এরপর ২০১৫ সালে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলার মধ্যেও চালু করা হয়েছে যাত্রীবাহী বাস চলাচল। এবার শুরু হচ্ছে কলকাতা-খুলনা-ঢাকার মধ্যে যাত্রীবাহী বাস চলাচল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।