বিস্ফোরক-জিহাদী বই উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার ও সিদ্ধিরগঞ্জ সংবাদদাতা : নতুন দিগন্ত অনলাইন ই-কমার্স এমএলএম কোম্পানীর অন্তরালে জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করছে নিহত তামিম ও সারোয়ার গ্রæপের সদস্যরা। এমন অভিযোগে গতকাল (শুক্রবার) ভোরে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তামিম ও সারোয়ার গ্রæপের সাথে জড়িত জেএমবির ৮ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ১১। এসময় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্ফোরক ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়েছে বলা জানিয়েছে র‌্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার জামাল ওরফে রাসেল জিহাদী (৩৫), ঢাকা জেলার কদমতলী থানার খন্দকার আবু নাইম ওরফে নামি জিহাদী (৪৯), ডেমরা থানা এলাকার নুরুল আবছার (২৭), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মহসিন (৫২), রাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার জাবির হাওলাদার (২২), কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার আকতারুজ্জামান ওরফে মারুফ (৩২), মুরাদনগর থানার হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক (৩২), তিতাস থানার কাশেম মুন্সি (৩১)। শুক্রবার দুপুর ১২টায় র‌্যাব-১১ এর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিইও লেঃ কর্ণেল কামরুল হাসান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পারিজাত মার্কেটের অভ্যন্তরে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন সারোয়ার ও তামিম গ্রæপের সদস্যরা গোপন বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। র‌্যাব ১১-এর একটি দল মার্কেটটিতে অভিযান চালিয়ে জেএমবির সাথে জড়িত কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লার গৌরিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অন্যান্য জেএমবি সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এমএলএম ব্যবসার অন্তরালে জেএমবি সদস্য সংগ্রহ করতো। তারা থ্রিমা, ইমো, হোয়াটস আপ ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ করতো।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা তামিম ও সারোয়ার গ্রæপের সদস্য। তামিম ও সারোয়ার নিহত হওয়ার পর রাসেল জিহাদী এ গ্রæপটির মূল্য সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করে। গ্রেপ্তারকৃত রাসেল জিহাদীর সাথে জেএমবির অনেক উপরে মহলের যোগাযোগ রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব ১১।