পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেনের ২ দিনের রিমান্ডে প্রথম দিন গেল গতকাল। এর আগে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রায় পনের লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দ্রæত বিচার আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আলমগীর হোসেন উত্তরা পূর্ব থানায় কর্মরত ছিলেন। ডিবি পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান রিমান্ডের আদেশ দেন। এদিকে একই মামলায় ঘটনাস্থল থেকে আটক অপর আসামি মাসুম বিল্লহ (৪৩) আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী এই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
ডিবি পুলিশ জানায়, রাজধানীর উত্তরা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে এএসআই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপি’র উত্তরা বিভাগের ডিসি বিধান ত্রিপুরা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উত্তরা পূর্ব থানায় কর্মরত এএসআই আলমগীর ভূয়া ডিবি সেজে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান থেকে আলমগীর চাঁদা আদায় করেন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি।
উত্তরা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজির অভিযোগে এনে ওই থানায় তিনি এবং তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা আগেই দায়ের করা ছিল। মামলা দু’টিতে তিনি এজহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি ছিলেন। ওই দুই মামলায় অন্যান্য গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীরের সম্পৃক্ততার তথ্য জানিয়েছিলেন।
জানা যায়, নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়া মধ্যপাড়ার বাদিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০) এ মামলার বাদী। মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন যে, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। গত ৪ এপ্রিল বিকেলে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজল²ী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। একপর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধে। এরপর তারা বাদীর কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার যার বর্তমান বাংলাদেশের বাজার মূল্য ১৫ লাখ চার হাজার টাকা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় বাদী ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাকে আটক করে এবং অপর ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এই ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া আসামি এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমান বলে জানায়। পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেফতার করেন।
রিমান্ডে থাকা পুলিশ সদস্য আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কৃত্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে স্বীকারোক্তি করা মাসুম বিল্লাহ বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।
জানা গেছে, আলমগীর একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করতেন। চাঁদাবাজির অভিযোগে উত্তরা পূর্ব থানায় ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা আগেই দায়ের করা ছিল। এ মামলা দু’টিতে আলমগীর দুই নম্বর আসামি ছিলেন। আগে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীরের সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছিলেন।
উত্তরা পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর মিয়া বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।