পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : কোনো নতুন ভোটারের নিবন্ধন সিøপ হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে তার কপি জমা দিলে স্মার্টকার্ড প্রদান করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হারিয়ে এবং পুড়ে যাওয়া কার্ড ফিরে পেতে জনগণকে সমস্যায় পড়তে হতো। এ সমস্যা সমাধান করতে নতুন পথ বের করেছে ইসি। জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, দেশের সকল নাগরিকের হাতে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্টকার্ড) দেয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করছে। আর বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা দিয়েছে নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা। সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেকেই ভোটার নিবন্ধন সিøপ হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকে হারিয়ে ফেলেছেন পুরোনো লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)। এই সব সমস্যায় থাকা নাগরিকদের কীভাবে সমাধান দেয়া যায় তার পথ বের করছি। তিনি আরো বলেন, জনগণের হয়রানী বন্ধে অনেক কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে। এখন কার্ড পেতে জনগণকে আর দেরি করতে হবে না।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগের নির্দেশনায় বলা হয়, ইতোপূর্বে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের জন্য নতুন ভোটারের ক্ষেত্রে নিবন্ধন সিøপ জমা নিয়ে এবং যারা পেপার লেমিনেটেড কার্ড পেয়েছেন তাদের পেপার লেমিনেটেড কার্ড গ্রহণ করে কার্ড পাঞ্চ করে ফেরত দিয়ে স্মার্টকার্ড প্রদান করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তবে যে সকল ভোটারের নিবন্ধন সিøপ/লেমিনেটেড কার্ড হারিয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অণুবিভাগ হতে ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র উত্তোলন করে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করা কষ্টসাধ্য হয়। অনেক ক্ষেত্রে বিতরণের নির্ধারিত দিনে তা গ্রহণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- কোনো নতুন ভোটারের নিবন্ধন সিøপ হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে তার কপি জমা দিলে স্মার্টকার্ড প্রদান করতে হবে, কোনো নাগরিকের পেপার লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে থানায় জিডি করে ব্যাংকে হারানো কার্ডের জরুরী ফি জমা দিয়ে চালানসহ জিডি কপি জমা নিয়ে স্মার্ট কার্ড প্রদান করতে হবে, জিডি এবং ব্যাংক চালানের কপি ব্যতিরেকে বিতরণ কেন্দ্রে কোনো ভাবেই নগদ অর্থ নিয়ে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা নিয়ে স্মার্টকার্ড প্রদান করা যাবে না, হারানো কার্ডের ক্ষেত্রে নগদ টাকা নিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণের প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং একটি ওয়ার্ডের কার্যক্রম শেষ হলে মোট কতটি হারানো কার্ডের জিডি ও চালানের বিপরীতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে তার হিসাব প্রদান করতে হবে।
২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর গত ১৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীতেও এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ২ এপ্রিল থেকে রাজশাহী সিটির নাগরিকদের হাতে স্মার্টকার্ড দেয়া হচ্ছে। এছাড়া স্মার্টকার্ড সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য জানাতে একটি হেল্প ডেস্ক খুলেছে এআইডি উইং। যেকোনো ফোন থেকে ১০৫ নম্বরে কল করে নাগরিকদের তথ্য জানাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তারা।
২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ১৮ মাসের মধ্যে ৯০ মিলিয়ন (৯ কোটি) স্মার্টকার্ড তৈরি করে দেয়ার জন্য ফ্রান্সের ‘অবার্থার টেকনোলজিস’ নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ইসি। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুনে নাগরিকের হাতে স্মার্টকার্ড দেয়ার কথা ছিল ইসি’র। কিন্তু সময়মতো না দিতে পারার আশঙ্কা ইসি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যয় না বাড়ানোর শর্তে এ প্রকল্পে আরো ১৮ মাস সময় বাড়িয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১০ কোটি ১৭ লাখ ভোটারের মধ্যে ৯ কোটির হাতে লেমিনেটেড এনআইডি রয়েছে। প্রথম থেকে এটি সংশোধন বা হারানো সেবা বিনামূল্যে দেয়া হলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেয়া শুরু করে কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।