পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বায়তুল মোকাররমে খুৎবা-পূর্ব বয়ানে মসজিদুন নববীর ইমাম শায়খ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম
স্টাফ রিপোর্টার : পবিত্র মসজিদুল হারাম শরীফ ও মসজিদুন নববীর কর্তৃপক্ষের ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসির আল খুযাইম এবং মসজিদুন নববীর ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিমের আগমন উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররমের চারদিকে কড়া নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মসজিদের সবক’টি প্রবেশ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আর্চওয়ে (বিশেষ যন্ত্র) বসানো হয়। প্রত্যেক মুসল্লির দেহ তল্লাশি করে মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। এতে অনেক মুসল্লি হয়রানির শিকার হন। বিদেশী মেহমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কড়া পুলিশী নিরাপত্তার মধ্যদিয়েই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। মক্কা-মদিনার মেহমানদের একনজর দেখার জন্য গতকাল জুমার নামাজে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পবিত্র মসজিদুন নববীর ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম গতকাল বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ানে বলেছেন, আল্লাহপাকের যত নেয়ামত আছে সমস্ত নেয়ামতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত হচ্ছে ইসলাম। এই ইসলামের মাধ্যমেই আমরা জান্নাতে যেতে চাই। অনেক কষ্ট অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ইসলাম এসেছে। রাসূল (সা.) নিজের জন্মভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেছেন ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য। রাসূল (সা.) এর মেহনতের বদৌলতে আমরা ইসলাম পেয়েছি। আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন তাকে জান্নাতে নেয়ার জন্য ইসলাম দান করেন। শায়খ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম বলেন, মদিনাবাসীরা রাসূল (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করতেন ইসলাম কি? ঈমান কি? আমরা সাহাবায়ে কেরামগণকে চোখে দেখিনি। আমরা বিনা মেহনতে ইসলাম পেয়েছি। সুতরাং আমাদেরকে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। প্রত্যেক দিন ১৭ বার তাওবা করে আমাদেরকে সরল সত্যের পথ ছেরাতাল মুসতা’কিম-এর পথের সন্ধান চাইতে হবে আল্লাহ’র কাছে। তিনি বলেন, দ্বীনের উপর কায়েম থাকার জন্য বেশি বেশি করে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে। দ্বীনের উপর থাকার জন্য আমাদের আখলাক-চরিত্র এমনভাবে গঠন করতে হবে যাতে অন্যরা আমাদেরকে অনুসরণ করেন। নামাজ, নফল এবাদত ও বেশি বেশি জিকির করতে হবে। শায়খ ড. আব্দুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম বলেন, ইসলাম ও ঈমানের বদৌলতে আমরা বাংলাদেশে ছুটে এসেছি। তিনি বলেন, আল্লাহপাক আজ যেভাবে একত্রিত করেছেন জান্নাতেও যাতে আমাদের সবাইকে একত্রিত করেন। মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি দোয়া করেন। তিনি সকলের উদ্দেশে বলেন, হে আল্লাহ, আমাদের জিন্দেগীর সমস্ত গুনাহ-খাতা মাফ করে দিন। এই মসজিদ থেকে বের হবার আগেই আমাদের প্রতি তুমি (আল্লাহ) রাজি-খুশী হয়ে যাও। তুমি (আল্লাহ) আমাদের স্ত্রী, সন্তানদের কামিয়াবী দান এবং হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দাও। নামাজ শেষে তিনি মুসলিম বিশ্বের সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন। এসময়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি, ঢাকাস্থ সউদী রাষ্ট্রদূতসহ সরকারী ও বেসরকারী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।