পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি শেখ শরিফুল আলমের কথার সাথে সাথে তা তামিল না করার অপরাধে শরিফুল ইসলাম নামের এক লেগুনা চালককে ৫ ঘন্টা মধ্যযুগীয় কায়দার নির্যাতন করে অবশেষে ২ শত পিস ইয়াবা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নির্যাতনে পর সাজেন্ট রাজিব বাহাদুর বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরে সোনারগাঁ থানা পুলিশ তাকে থানা হাজতে না রেখে চিকিৎসার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। লেগুনা চালককে বিনা অপরাধে নির্যাতন ও ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়ে মামলা দেয়ার ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে নির্যাতনের শিকার শরিফুলের পরিবার।
নির্যাতনের শিকার শরিফুল ইসলামের বোন নাদিরা আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চালক শরিফুর ইসলাম লেগুনা গাড়ীতে যাত্রী নিয়ে চিটাগাং রোড থেকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আসছিলেন। এসময় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শরিফুল আলম তাকে গাড়ীটি থামানোর জন্য সিগনাল দেন। হঠাৎ করে সিগনাল দেওয়ায় তার গাড়ী থামাতে একটু সময় লাগে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শরিফুল আলম তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে কাঁচপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ ঘণ্টা হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় তাকে কয়েক দফা নির্যাতন চালানো হয়। এতে সে অচেতন হয়ে পড়লে ওসি শরিফুল আলম চালককে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফের ফাঁড়িতে নিয়ে এসে তাকে নির্যাতন করে। পরে রাত ১২ সময় ২ শত পিস ইয়াবা তার পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে একটি মামলা করে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করে। এসময় সোনারগাঁ থানা পুলিশ চালক শরিফুলের শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে থানা হাজতে না রেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। বর্তমানে তাকে হাতকড়া পড়া অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি শরিফুল আলম জানান, লেগুনা চালক রংসাইড দিয়ে গাড়ী চালিয়ে আসায় পুলিশ তাকে বাধা দেয়। এতে লেগুনা চালক শরিফুল ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে পুলিশকে মাথায় আঘাত করলে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এসময় আশপাশের লোকজন লেগুনা চালককে মারধর করে। পরে লেগুনা চালককে ফাঁড়িতে ধরে আনলে তার শরীর তল্লাশি করে ২ শত পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বেও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ওসি শরিফুল আলম দা হাতে নিয়ে ব্যবসায়ীদের ফলকেটে আলোচনায় আসেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠে। এর রেশ কাটতে না কাটতে ফের লেগুনা চালককে পিটিয়ে আলোচনায় আসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।