ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
কে এস সিদ্দিকী
আমাদের সাহিত্যসেবীদের অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হয় যে, তারা ‘রুবাইয়াতে খাইয়্যাম’ নিয়ে অনেক গবেষণা সাধনা করেছেন। অনেকে রুবাইয়াত সংকলন করে বহু অনুবাদও করেছেন এবং অতি উচ্চ স্তরের কবি হিসেবে তার যথার্থ মূল্যায়ন করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন। অনেকের নিকট তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ কবিদের অন্যতম। খাইয়্যাম গবেষকদের সাধনা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
প্রশ্ন হচ্ছে, উমর খাইয়্যাম কি ফারসি ভাষার কেবল কবি-সাহিত্যিক ছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে দেখা যায়, তাকে শুধু সাহিত্যের গÐির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না, তিনি একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীও ছিলেন। বিজ্ঞান নিয়ে বিশেষত মুসলিম বিজ্ঞানীদের নিয়ে যারা গবেষণা করেছেন এবং করছেন তারা খাইয়্যামকে একজন শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হিসেবে মর্যাদা দিতে চান এবং বিজ্ঞানের নানা শাখায় তার অবদানগুলো তুলে ধরতে চান। তার সেসব অবদান তার সাহিত্যকীর্তিকে মোটেই খর্ব করে না। আবুল ফাতাহ উমর ইবনে ইবরাহীম খাইয়্যাম ছিলেন বিখ্যাত শহর নিশাপুরের অধিবাসী। তার উপাধি ছিল হুজ্জাতুল হক বা সত্যের দলিল। তার জন্ম ১০৩৯ সালে। তার ওফাতকাল নিয়ে মতবিরোধ আছে। কেউ কেউ ঈসায়ী সাল ১১৩২ বললেও হিজরি ৫০৫ মতান্তরে ৫১৭ সালের ৭ রজব বলা হয়ে থাকে। তিনি ফারসি ভাষার কবিরূপে সুপরিচিত। তার বিখ্যাত রূবাইয়াত ১৯৩২ সালে অদিউল বিস্তানী ও আহমদ ছাফী নজফী সেবাই আরবিতে কাব্যানুবাদ করেছেন। তার কাব্যে দুঃখ ও দুর্ভাগ্যের সুর ধ্বনিত হয়েছে। ১০৭৪ খ্রিস্টাব্দে তার অংক শাস্ত্রের বিখ্যাত গ্রন্থ ‘আলজবর ওয়াল মোকাবিলা’ এবং ‘মুশাকলাতুল হিসাব’ প্রকাশিত হয়। সংক্ষেপে এটি তার জীবন কথা।
উমর ইবনে খাইয়্যামের জীবন চরিত্র সম্পর্কে নানা কথা আছে। তার প্রাথমিক জীবন জন্মস্থানেই অতিবাহিত হয়। সেকালে তার জন্মস্থান জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রধান কেন্দ্র ছিল। সে সময়ে নিশাপুরে প্রসিদ্ধ কয়েকটি মাদ্রাসা ছিল এবং সেখানে আলেমদের মজলিস অনুষ্ঠিত হতো। এমনি এক পরিবেশে নিশাপুরে যে কৃতী সন্তান তার শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করেন বিশ্ববাসীর কাছে তিনি উমর খাইয়্যাম নামে পরিচিত। তার পিতা ইবরাহীম ছিলেন তাঁবু নির্মাতা। আরবি শব্দ ‘খীমা’ অর্থ তাঁবু। তাঁবু সেলাইকারীকে বলা হয় খাইয়্যাম। পিতার এ পেশাগত নাম উমরের নামের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায় এবং উমর খাইয়্যাম নামেই তিনি পরিচিতি লাভ করেন। দার্শনিক হিসেবে তিনি যুক্তি প্রমাণের মাধ্যমে সত্য উদ্ঘাটন করতেন বলে ‘হুজ্জাতুল হক’ তার খেতাব হয়ে যায়। তিনি নিশাপুরের মাদ্রাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করেন। মধ্য যুগে নিশাপুরে ছিল খোরাসানের রাজধানী এবং প্রধান ইসলামী শহর যার অধীনে ছিল বালখ হিরাত এবং মারু (মার্ভ)। এ শহরই ছিল বিখ্যাত দার্শনিক বিজ্ঞানী ও কবি উমর খাইয়্যাম ও প্রখ্যাত সাধক কবি শেখ ফরিদউদ্দীন আত্তারের জন্মস্থান। ইসলামী শিক্ষাদীক্ষা ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের অন্যতম কেন্দ্র নিশাপুর ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাও কেন্দ্র ছিল। নিশাপুর ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার এ কেন্দ্র হতে সেকালে বহু মুসলিম দার্শনিক, বিজ্ঞানী, কবি-সাহিত্যিক, ইমাম-ফকীহ প্রভৃতি মুসলিম মনীষীর আবির্ভাব ঘটেছিল। উমর খাইয়্যাম ছিলেন তাদেরই একজন।
উমর খাইয়্যামের শিক্ষাজীবনের একটি চমৎকার ঘটনা ইতিহাসে বর্ণিত হয়েছে। নিশাপুরে ইমাম মোওয়াফফেকের মাদ্রাসায় শিক্ষালাভের জন্য বহু দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্ররা এসে অংশগ্রহণ করত এবং শিক্ষা সমাপনের পর তারা নিজ নিজ স্থানে চলে যেত এবং স্ব স্ব স্থানে কর্মকাÐে আত্মনিয়োগ করত। অধ্যয়নরত অবস্থায় কিংবা অধ্যয়ন শেষে ভবিষ্যৎ জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করত। এমনি ঘটনা ঘটে উমর খাইয়্যাম ও তার অপর দুই সহপাঠীর জীবনে। ব্যতিক্রমী এ ঘটনাটি নি¤œরূপ:
একদিন এই মাদ্রাসার এক প্রান্তে বসে তিন সহপাঠী বন্ধু তাদের পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু স্থির করার বিষয়ে আলাপ করছিলেন। খাইয়্যামের অপর দুই সহপাঠীর নাম নিজামুল ত‚সী ও হাসান ইবনে সাব্বাহ। আলোচনা শেষে তারা পরস্পর অঙ্গীকারবদ্ধ হন যে, তাদের মধ্যে কেউ যদি কোনো-কখনো উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হন তা হলে তার উচিত হবে অপর দুই বন্ধুর কথা স্মরণ করা। শিক্ষা সমাপনের পর তারা তিনজনই স্ব স্ব স্থানে চলে যান এবং যার যার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। নিজামুল ত‚সী ভাগ্যক্রমে সেলজুকী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি ক্ষমতাসীন হয়ে তার অধ্যয়ন জীবনের অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করেন এবং প্রথমে বন্ধু উমর খাইয়্যামকে তলব করেন। ত‚সীর কোনো প্রকারের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন আছে কিনা খাইয়্যামের কাছে জানতে চান। তার কোনো প্রয়োজন নেই বলে খাইয়্যাম জানান। অতঃপর প্রধানমন্ত্রী তূসী তার অপর বন্ধু হাসান ইবনে সাব্বাহকে সংবাদ দেন। ইবনে সাব্বাহ সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানান বলে একটি বর্ণনা রয়েছে। তূসীর শাসনামলেই ইবনে সাব্বাহ সন্ত্রাসী দলের নায়ক হয়ে রাষ্ট্রে সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হয়ে লুটপাটসহ অরাজকতা সৃষ্টি করতে থাকেন এবং ‘আলামুত’ দুর্গকে তার কেন্দ্রে পরিণত করেন। বোখারার একটি এলাকার নাম “নাকশাব”। এখানে তিনি একটি কৃত্রিম বেহেশত নির্মাণ করে তার অনুসারী-ভক্ত ও সাধারণ লোকদের প্রতারিত ও বিভ্রান্ত করতে থাকেন। সেখানে তিনি কৃত্রিম উপায়ে পূর্ব দিক হতে সূর্য উদিত করেন এবং অস্তমিত করেন। তিনি ছিলেন ‘বাতেনিয়া’ বা গোপন সন্ত্রাসী দলের নেতা, যাকে ‘হাশশাশী’ দলও বলা হয়। নিজামুল তূসীকে বন্ধু হাসান ইবনে সাব্বাহ তার এ হাশশাশী দলের লোক দ্বারা হত্যা করান। কারণ তূসী তার দল নির্মূলের অভিযান চালিয়েছিলেন। অবশেষে হাসান ইবনে সাব্বাহ ও তার দলের শোচনীয় পতন ঘটে হালাকু খানের হাতে। ইতিহাসে তার ধ্বংসাত্মক কাহিনীর বিশদ বিবরণ রয়েছে।
বলছিলাম নিজামূল তূসীর এক বন্ধুর কথা। অপর বন্ধু উমর খাইয়্যামের কথায় ফিরে আসা যাক। জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন তিনি। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন দার্শনিক-কবি, অংক ও গণিতশাস্ত্র এবং নক্ষত্র বিদ্যায় বিশারদ।
সুলতান মালিকশাহ সেলজুকী (৪৬৫-৪৮৮) উমর খাইয়্যামের অসাধারণ যোগ্যতা ও প্রতিভা দেখে তাকে দরবারে তলব করেন এবং তাকে মানমন্দির নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করেন এবং তার নেতৃত্বে ও তত্ত¡াবধানে পাঁচ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর মানমন্দির নির্মিত হয়। মালিকশাহের দরবারে উমর খাইয়্যামের সবচেয়ে বড় এবং উল্লেখযোগ্য কীর্তি হচ্ছে ইস্ফাহানে ‘তকবীমে জালালী’ বা জালালী ক্যালেন্ডার প্রণয়ন। মালিকশাহের উপাধি ছিল জালালুদ্দীন। এ জন্য ক্যালেন্ডারের নামকরণ করা হয় জালালী ক্যালেন্ডার। মূলত এটি একটি সৌর ক্যালেন্ডার।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে, ভারতবর্ষে মোগল স¤্রাট আকবরের নাম ছিল জালালুদ্দিন। তিনি তার শাসনামলে ‘তারিখে আলফী’ (সহ¯্রাব্দের ইতিহাস) রচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের যে পরিষদ গঠন করেছিলেন, তাদের গবেষণা সাধনার ফল হিসেবে প্রণীত হয়েছিল আকবরের নাম অনুসারে জালালী সন, যাকে এলাহী ও ফসলি সনও বলা হয়। তারিখে আলফীর ভিত্তিতে সা¤্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জালালী বা এলাহী সন প্রবর্তন করা হয়, যা হিজরি সনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিল। আকবরের ‘নবরতেœর’ অন্যতম আমির ফতহুল্লাহ শিরাজীকে বাংলা সনের প্রবর্তক বলা হয়। বাংলা সনের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে বলা হয়ে থাকে, এ সন হিজরি সন হতে উদ্ভ‚ত। মালিকশাহ সেলজুকী প্রবর্তিত জালালী ক্যালেন্ডার এবং আকবর প্রবর্তিত জালালী সন ভিন্ন ভিন্ন হলেও উভয়ের মধ্যে কেবল নামের মিলই রয়েছে।
যেহেতু আমাদের আলোচক উমর খাইয়্যাম কেন্দ্রিক, তাই তার জালালী ক্যালেন্ডার প্রসঙ্গে আরো কিছু কথা বলে রাখা দরকার। জালালী ক্যালেন্ডারের আরবি নাম ‘আত-তাওখেজালালী’। মূলত এটি একটি সৌর ক্যালেন্ডার, যার অর্থ হচ্ছে আধুনিক চিন্তাধারা অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের পাশে এক পূর্ণ চক্কর অতিক্রম করে। সৌর বছরের যে পরিমাপের ওপর খাইয়্যাম ফর্মুলা উদ্ভাবন করেন তাতে দেখা যায় যে, বর্তমানে প্রচলিত গণনায় মাত্র তিন মিনিট ১১ সেকেন্ড অথবা মাত্র ১৭ সেকেন্ডের পার্থক্য। পশ্চিমা ধূর্তরা বর্তমান সৌর ক্যালেন্ডার তাদের রচিত বলে দাবি করলেও এর প্রকৃত আবিষ্কর্তা হচ্ছেন বিজ্ঞানী উমর খাইয়্যাম।
মহান পÐিত বিজ্ঞানী ওমর খাইয়্যাম ছিলেন এক উচ্চ স্তরের দার্শনিক, সুফি-কবি। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের বিপুলভাবে সমাদৃত-প্রশংসিত তার ‘রুবাইয়াত’ ফারসি সাহিত্যে এক অনবদ্য অবদান। উল্লেখ্য, অধিকাংশ কবি তাদের কালামে কোনো কোনো বিশেষ শব্দ বারবার পুনরাবৃত্তি করে থাকেন অথবা কালামের (বাক্যের) বিশেষ শ্রেণীর অনুকরণ করেন। যেমন হাফেজের পীরে মোগ ইকবালের ‘মর্দে মোমেন’ ও ‘মসনবী মাওলানা’ প্রভৃতি। অনুরূপভাবে খাইয়্যামের বিশেষ শব্দ হচ্ছে ‘সাকী’ ও ‘ক‚জা’। এ দুটি শব্দ বিভিন্ন বাক্যে ব্যবহার করার ফলে অনেক পশ্চিমা এমন কি কোনো কোনো প্রাচ্য গবেষকও খাইয়্যামের সাথে না-ইনসাফী (অন্যায়) করে তার কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং তার চিন্তাধারাকে বিকৃতভাবে পেশ করেছেন। তবে এক শ্রেণীর লেখক-গবেষকের মতে, খাইয়্যাম অধিকাংশ গ্রিক দর্শনের শিক্ষা দিতেন বলে তার এ ধরনের চিন্তাধারা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় তাকে যখন হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়, তখন তিনি হজ করতে মক্কা চলে যান।
উমর খাইয়্যাম সর্বপ্রথম সরকারের দ্বারা এই নীতির স্বীকৃতি আদায় করেন যে, ধর্মীয় ব্যাপারে যথাÑ হজ, ঈদ, রমজান ইত্যাদি নির্ণয়ের জন্য চান্দ্র হিসাব ও জালালী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গণনা করতে হবে। কিন্তু অন্য ব্যাপারগুলোতে যথা রাজস্ব উসূল ও বেতন পরিশোধ প্রভৃতি সৌর হিসাব ও ইরানি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হবে। এই ক্যালেন্ডারে তার তৃতীয় সংস্কারে ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সৌর বছরকে ৩৬৫ দিবস ৫ ঘণ্টা এবং ৪৯ মিনিট গণ্য করেছিলেন। তাই সৌর ক্যালেন্ডারে ৩৬৫ দিন এবং পূর্ণ ও ঘণ্টা হিসাব করে প্রতি তৃতীয় বছরে ‘লিপ ইয়ার’-এর একদিন বৃদ্ধি করা হয়। এতে যেহেতু ঘণ্টাগুলোর বৃদ্ধি পূর্ণ ৬ ঘণ্টার পরিবর্তে ৫ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট হয় তাই চতুর্থ বছর এক দিন বৃদ্ধি করায় চার বছরে ৪৪ মিনিট বেশি হয়। উমর খাইয়্যাম এই অতিরিক্ত নিরসন করে নিয়ম করেন যে, ১৩২তম বর্ষকে লিপ ইয়ার বর্ষ ধরা হবে না। এভাবে যে বছর ১৩২ দিনে পূর্ণ বিভক্ত হবে সেটাকেও লিপ ইয়ার বর্ষ গণ্য করা হবে না। খাইয়্যামের এই পদ্ধতি অনুযায়ী, ৩৭তম বছরে এক দিনের পার্থক্য ঘটবে।
খাইয়্যাম একটি সাধারণ জায়গীরের ওপর সন্তষ্ট ছিলেন তবে সুলতানগণ ও আমির-ওমাররা তার সাথে সমান ব্যবহার করতেন। শামসুল মূলক খাকা-বোখারী তাকে সিংহাসনে তার পাশে আসন দিতেন এবং সুলতান মালিকশাহ সেলজুকী তার সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক রাখতেন। খাইয়্যাম একজন চিকিৎসাবিদ হিসেবেও প্রসিদ্ধ ছিলেন।
একটি বর্ণনা অনুযায়ী, মৃত্যুর বারো দিন পূর্বে হুজ্জাতুল হক আবুল ফাতাহ উমর ইবনে খাইয়্যাম ইমাম মোহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল বোখারী (রহ.)-এর মাজারে অবস্থান করেন এবং সেখানেই হিজরি ৫০৫ মতান্তরে ৫১৭ সালের ৭ রজব ইন্তেকাল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।