হাফিংটন পোস্ট : সঠিক সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে সময় লাগে। কোনো কোনো সময় আপনাকে আগে সঙ্গী ঠিক করতে হবে। চীনের হ্যাংঝুর ৩১ বছর বয়সী এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রকৌশলি ঝেং জিয়াজিয়া এক মেয়ে রোবোটকে বিয়ে করেছেন যাকে তিনি বাতিল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি থেকে বানিয়েছেন। তবে সে সম্পূর্ণই জড় যন্ত্র নয়। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ঝেং গত বছর ‘ফেমবোট’ নামের ওই মেয়ে রোবোট তৈরি করেছেন। পরে তার নাম দিয়েছেন য়িংয়িং। ৩১ মার্চ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তিনি ভাগ্যবান ওই ইলেক্ট্রনিক্স টুকরোকে বিয়ে করেন।
য়িংয়িংকে শুধু জড় যন্ত্র বলা যায় না। ঝেং বলেন, সে চীনা ভাষার অক্ষর ও ছবি চিনতে পারে এবং এমনকি কিছু শব্দও বলতে পারে।
ম্যাশেবলের মতে, সে শুধু ঝেং-এর সাথেই যোগাযোগ করতে পারে। কিছুটা বিস্ময়কর ব্যাপার যে তিনি তাকে তার কোম্পানির আনুষ্ঠানিক মুখপাত্র বানিয়েছেন যাকে কিনা বস্তুর বুদ্ধির সূচনা বলা যেতে পারে। এ সিদ্ধান্তকে কেউ কেউ ‘স্ব-যন্ত্র-প্রীতি’ বলেছে।
এ বিয়ে যদিও আইনগত বন্ধন নয়, তবুও চীনা ঐতিহ্য মোতাবেক হয়েছে। প্রথা অনুসরণ করে য়িংয়িং কালো পোশাক পরে এবং তার মাথা ঢাকা ছিল লাল রঙের রুমালে।
এ আই প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ একটি কোম্পানির জন্য একটি রোবোটকে বিয়ে করা স্পষ্টতই এক বিরাট প্রচার- চমক। ঝেং শুধু তার বিয়ের ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি থেকে বাবা-মাকে দূরে সরিয়ে রাখতেই হয়ত একটি রোবোটের সাথে রোমান্টিক হয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন।
সাংহাইস্ট জানায়, বিয়েতে যোগ দেয়া এক বন্ধু কিয়ানজিয়াং ইভিনিং নিউজকে বলেন, ঝেং-এর পরিবার বিয়ে করে জীবনে থিতু হওয়ার জন্য তার উপর অব্যাহতভাবে চাপ দিচ্ছিল।
ওই বন্ধু পত্রিকাকে আরো জানায় যে কলেজে এক তরুণীর সাথে তার প্রেম হয়েছিল। কিন্তু সে পরে তার সাথে সম্পর্ক ছেদ করে। এতে তিনি ভীষণ আঘাত পান। তিনি আর কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়াননি। তবে ঝেং পত্রিকাকে বলেন যে তার বন্ধু স্রেফ রসিকতা করে এ কথা বলেছে।
ঝেং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোকে বলেন যে, তিনি য়িংয়িংকে আরো উন্নত করার পরিকল্পনা করেছেন যাতে সে কথা বলতে, চারপাশে ঘুরতে ও এমনকি ঘরের কাজও করতে পারে।