পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সাবেক কমান্ডিং অফিসার জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে জেলার আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার থেকে ২ কোটি টাকা লুটের মামলাটিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নেয়া হয়েছে। একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য আদালতও নির্ধারণ করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এ আদেশ দেন। মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরে আলম ভুইয়ার আদালতে পরিচালিত হবে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি আ ক ম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আদালত মামলাটি পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করেছেন। অভিযোগ গঠনসহ পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম ওই আদালতেই হবে। বাদিপক্ষের আইনজীবী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগপত্রে সাত আসামির বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তা আমলে নিয়ে বিচারের জন্য আদালত নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিচারক। পরের শুনানির দিন মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
তালসরা দরবারের পীরের গাড়িচালক মো. ইদ্রিসের মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলফিকার আলী মজুমদারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে দরবারে রাখা আলমারি ভেঙে দুই কোটি সাত হাজার টাকা নিয়ে যায়। ২০১২ সালের ২৬ জুলাই এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হলেও মামলা বাতিল চেয়ে দুই আসামির হাইকোর্টে করা আবেদনের কারণে শেষ চার বছরেও অভিযোগ গঠন হয়নি।
আসামিরা হলেন- র্যাব-৭ চট্টগ্রামের তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহমুদুল হাসান, র্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া।
২০১১ সালের ৪ নভেম্বর মাজারটিতে র্যাব সদস্যরা গিয়ে তল্লাশির নামে ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আনোয়ারা থানায় র্যাবের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। ওই দিন দরবার থেকে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে র্যাব সদস্যরা আটক করে। তাদের থানায় হস্তান্তর করা হলেও টাকার বিষয়ে কোনো কিছুই উল্লেখ করেনি র্যাব।
এ ঘটনা পরে জানাজানি হলে র্যাব সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে টাকা লুটের ঘটনায় র্যাব সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ আসার পর তাদের স্ব স্ব বাহিনীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে র্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক জুলফিকারও ছিলেন।
২০১২ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেফতার হন জুলফিকার আলী। তবে ২১ জুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হন তিনি। এরপর ওই বছরের ২৬ জুলাই জুলফিকারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন আনোয়ারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ। এরপর থেকে মামলার অভিযোগপত্র সংশ্লিষ্ট জিআরও শাখায় জমা ছিল।
মামলার অন্যতম আসামি মাহামুদুল হাসানের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত করতে চট্টগ্রামে এসে ২০১২ সালে একটি আবাসিক হোটেলে মারা যান বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার মামুনুর রশীদ। ২০১২ সালেই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুলফিকার ও মাহমুদুল হাসান। ২০১৫ সালের ১১ মার্চ জুলফিকারের করা রুল আবেদনটি হাইকোর্টে বাতিল হয়ে যায়। সর্বশেষ গত বছরের ১৮ আগস্ট মাহমুদুল হাসানের পক্ষে আবেদনটি না চালানোর কথা জানানো হলে সেটিও বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।