Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিয়াদ হত্যা মামলা : ৩ জনের মৃত্যুদন্ড ১ নারীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরে উত্তরা ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র ছাত্র রিয়াদ হত্যা মামলার রায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদÐ এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদÐের আদেশ দিয়েছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ একেএম এনামুল হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একই সঙ্গে মৃত্যু দÐপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ রায়ে যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদÐ দেয়া হয়েছে।
ফাঁসির দÐপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন টাঙ্গাইলের গোপারপুর থানার জামতৈল এলাকার মো: আব্দুস সামদ মাস্টারের ছেলে মো: রেজাউল করিম ওরফে সাগর (২৮), জামালপুর সদরের মোহনপুর এলাকার মৃত সলিম উদ্দিনের ছেলে মো: জামাল উদ্দিন (৩২) ও মৌলভীবাজার সদর এলাকার বেকামোড়া (বেগবাড়ি’র) মো: ইয়াবর মিয়ার ছেলে মো: শাহাব উদ্দিন (২৩)। যাবজ্জীবন দÐপ্রাপ্ত আসামি হলেন জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানা এলাকার বল্লভপুর গ্রামের আ: ছামাদ মÐলের মেয়ে সানজিদা আক্তার লিপি (২৬)। গাজীপুর আদালতের পিপি অ্যাড. হারিছ উদ্দিন আহমদ জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ থানার নবীপুর এলাকার খাজা মাইন উদ্দিনের ছেলে মো: আবদুর রহমান ওরফে রিয়াদ (২৫) গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকার সাকসেস একাডেমি কোচিং সেন্টারে থেকে ঢাকার উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করতেন। এসময় হাউজ বিল্ডিং এসএম মাতুল কোচিং সেন্টারে পড়ার সময় অত্র মামলার আসামি সানজিদা আক্তার লিপি’র সাথে রিয়াদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই বিকালে চাকরি দেয়ার কথা বলে রিয়াদকে সানজিদা আক্তার লিপি তার স্বামী মো: রেজাউল করিম ওরফে সাগরের হাতে তুলে দেয়। পরে সাগর ও তার সঙ্গীরা রিয়াদকে অপহরণ করে জামালপুর নিয়ে যায়। এর দুই দিন পর ২৫ জুলাই রাত ১০টার সময় সাগর টেলিফোনে রিয়াদের আবুধাবি প্রবাসী পিতা খাজা মাইন উদ্দিনকে জানায়, তার ছেলে রিয়াদ তাদের কাছে আছে। অপরহণকারীরা রিয়াদের বাবার নিকট প্রথমে ৩০ লাখ টাকা পরে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ৩০ জুলাই টঙ্গী মডেল থানায় রিয়াদের ফুফাত ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো: জাকির হোসেনের একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে র‌্যাব-১, মোবাইল ট্র্যাকিং করে অপহরণকারী আসামি রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যমতে আসামি সানজিদা আক্তার লিপি ও শাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। এসময় শাহাব উদ্দিন জানায়, রেজাউল করিম, জামাল উদ্দিন ও সে রিয়াদকে জামালপুর নিয়ে হত্যা করে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখে। পরে রিয়াদের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে আঞ্জুমানে মফিজুল ইসলাম জামালপুরে দাফন করে। এ ঘটনার ৩৬ দিন পর কবর থেকে রিয়াদের লাশ উত্তোলন করা হয় এবং জামালপুরেই লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে টঙ্গী মডেল থানার এসআই আলমগীর গাজী ২০১৪ সালের ২৭ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার সকালে ওই দÐাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. হারিছ উদ্দিন আহমদ এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো: ওয়াহিদুজ্জামান আকন, আব্দুল জলিল ও জেবুন নেছা মিনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ