Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের সাথে বিদ্বেষ রেখে কিছু আদায় করা যাবে না : ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাঙালি বীরের জাতি। বাংলাদেশ কারও কাছে মাথা নত করবে না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) নগরীর মোহরায় এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কারও সঙ্গে কোন চুক্তি করবে না। শেখ হাসিনা বীরের মতো ভারত যাচ্ছেন। ভারতের সঙ্গে কোন চুক্তি হলে সেটা হবে জনগণ ও জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে সমতার ভিত্তিতে।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বিদ্বেষ রেখে কোনকিছু আদায় করা যাবে না। ভারত থেকে কিছু আদায় করতে হলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই করতে হবে। বিএনপি ২১ বছর ধরে ভারতবিরোধী প্রপাগাÐা চালিয়েছে। কিন্তু ভারতের কাছ থেকে কিছ্ ুআদায় করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত যাচ্ছেন বলে এখন বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারত দুঃসময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার কোন কিছু বিকিয়ে দিয়ে ভারতের সঙ্গে কোন চুক্তি করবে না।
আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দর হায়াত খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর মোহরায় মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এসময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নগরীর বহদ্দারহাট কর্ণফুলী সেতুর উভয় পাশে চার লেইনবিশিষ্ট ৮ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। সাত বছর আগে কর্ণফুলী সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও একই প্রকল্পের অধীন সড়ক নির্মাণের কাজটি আর শুরু হয়নি।
এই প্রসঙ্গে উদ্বোধনের সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা বহু প্রতীক্ষিত। কিন্তু কাজটা শুরু করা যায়নি। এটার কারণ টাকা হচ্ছে বিদেশি। বিদেশি টাকার জন্য তাদের কাছে বারবার ধর্ণা দিতে হয়। বারবার যোগাযোগ করে বিভিন্ন বিষয়ে সম্মতি নিতে হয়। এর ফলে দেরি হয়ে গেছে।
এদিকে প্রকল্পের কাজের মধ্যে আছে, বহদ্দারহাট ইন্টারসেকশন থেকে কর্ণফুলী সেতুর উত্তর প্রান্তের এপ্রোচ সড়ক পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কের উভয় অংশ চার লেইনে উন্নীতকরণ। সেতুর দক্ষিণ পাশে পটিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার চার লেনে উন্নীতকরণ। এছাড়া ৪টি সেতু, ৮টি কালভার্ট ও ২টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ১৮ মাস। ২০১৮ সালের আগস্টে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ