পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের সাথে বর্তমান সরকারের ‘আকাশছোঁয়া’ সম্পর্ক থাকলে কেনো তড়িঘড়ি করে প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দুই একজন লোক ভারতে চাকরি করতে পারে কিন্তু জনগণ একাত্তরের মতোই তাদের বীরত্ব দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
রিজভী আহম্মেদ বলেন, বলেন, বর্তমান সরকার আমলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ শিখরে রয়েছে বলে দুই দেশের সরকারি মহল থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে। যদি আকাশছোঁয়া সম্পর্কই হয়ে থাকে, তবে এতো এতো তড়িঘড়ি করে চুক্তি কেনো? ভারতের নীতিনির্ধারকরা তো খুশি থাকবেনই কারণ বাংলাদেশে থেকে না চাইতেই অনেক কিছু পাওয়া যায়। দিল্লী নিতে জানে, কিন্তু দিতে জানে না।
আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মধ্যে ঠেলে দেয়া কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি এদেশের জনগণ মেনে নেবে না। জনগণ আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল হতে দেবে না। বাংলাদেশের দুই একজন লোক ভারতে চাকরি করতে পারে কিন্তু জনগণ একাত্তরের মতোই তাদের বীরত্ব দিয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।
আজ শুক্রবার চারদিনের সফরে দিল্লী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরকালে সামরিক সহযোগিতাসহ ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের ইতিমধ্যে জানিয়েছেন।
২০১০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছিলেন।
গত ৪ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগেই সম্ভাব্য চুক্তি ও সমঝোতাসমূহ জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ২০১০ সালেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে করেছিলেন। সেই সময় তিনি প্রকাশ্যেÑ অপ্রকাশ্যে প্রায় ৫০টির মতো চুক্তি করেছিলেন। অপ্রকাশ্যের চুক্তিগুলোর বিষয়ে এখনো জনগণ কিছুই জানতে পারেনি।
সীমান্ত সমস্যা সমাধানের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এর বিনিময়ে যে, বাংলাদেশের ভূ-খÐকে একরকম ইজারা দেয়া হয়েছে নাম মাত্র মাসুলের বিনিময়ে, ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বহুমুখী ট্রানজিটের নামে করিডোরের সুবিধা দেয়া হয়েছে। অবকাঠামো না থাকলে অগ্রাধিকারভিত্তিতে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের সমস্যা তো দূরে থাক, এসমস্ত নদীর উজানে ভারত একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এতে বাংলাদেশ অংশে এই নদীগুলো মরা খালে পরিণত হয়েছে।
সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি দাবি করে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ভারতীয় বিএসএফ হাতের প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশের নাগরিক খুন হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যেও বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতেও ভারত শুল্ক ও অশুল্ক বাঁধা সৃষ্টি করেই রেখেছে যাতে আমরা পণ্য রফতানি করতে না পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।