পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এনাম সরকার : ভ্রমণ ভিসায় (বি-১ বি-২) যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে কোন প্রকার বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করতে বাংলাদেশের শিল্পীদের সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসের কালচারাল অ্যাফেয়ার্স উইং গত মঙ্গলবার দুপুরে বারিধারাস্থ আমেরিকান সেন্টারে সংস্কৃতি জগতের শিল্পী-কুশলীদের ডেকে এই সতর্ক বার্তা দেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন- অভিনেত্রী মৌসুমী, ওমর সানী, পূর্ণিমা, বিদ্যা সিনহা মীম, ফেরদৌস, কণ্ঠশিল্পী পার্থ বড়–য়া, এস আই টুটুল, ব্যান্ড দল নগর বাউলের সদস্যরা, মাইলস, চিরকুট ব্যান্ডসহ আরো অনেকে। দূতাবাস থেকে বলা হয়, বিগত কয়েক বছরের পর্যবেক্ষণে দেখা যায় বাংলাদেশের একাধিক শিল্পী-অভিনেতা, অভিনেত্রী ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন যা নিয়ম বহির্ভূত। এর কারণে সম্প্রতি দেশের কয়েকজন নামকরা শিল্পী ভিসার আবেদন করলে দূতাবাস তাদের ভ্রমণ ভিসাও প্রদান করে নাই।
বাণিজ্যিক যে কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য পি-থ্রি টাইপ ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। কিন্তু সেই নিয়ম অনুসারের বদলে শুধুমাত্র ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার প্রবণতা বিগত সময়ের চেয়ে আরো বেড়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরণের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ এবং নির্দেশনা দেয়া হয় মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে। দূতাবাস তালিকা করে সেই সকল শিল্পী-কুশলীদের ভ্রমণ ভিসাও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। সিনিয়র শিল্পীদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে কতিপয় শিল্পী-কূশলীদের এমন কর্মকাÐ প্রথিতযশা শিল্পীদেরও বিব্রত করেছে।
সঙ্গীতশিল্পী এ্যান্ড্রু কিশোর বলেন, ‘এর আগেও আমেরিকান দূতাবাস শিল্পীদের ডেকে এই বিষয়ে সতর্ক করে। আমিও তখন উপস্থিত ছিলাম। আমাদের নাম করা কয়েকজন শিল্পী ভ্রমণ ভিসায় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে নানা হেনস্থার শিকার হয়েছেন, এমনকি অনাথের মত রাস্তাঘাটে ঘোরাফেরার খবরও পেয়েছে আমেরিকান প্রশাসন। তারপরই নজড়দারি বৃদ্ধি করে তারা।আমি মনে করি পি-থ্রি ভিসা ছাড়া কোন শিল্পীরই আমেরিকায় অনুষ্ঠান করা উচিত নয়। পি-থ্রি ভিসা থাকলে কোন শিল্পী-কুশলী কোন প্রকার সমস্যায় পড়লেও আমেরিকার সরকার তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসে।
যোগ দেয়ার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম অবস্থানের কারণে ঐদিন আমেরিকান সেন্টারে উপস্থিত হতে পারেননি সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। তিনি বলেন, ‘ভ্রমণ ভিসা আমারও আছে তার পরেও এই ভিসায় আমি অনুষ্ঠান করতে যাই না। বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানের জন্য পি-থ্রি ভিসা জরুরী। এবং এটা আইনানুগ এবং ব্যয় সাপেক্ষ। এখানে একজন শিল্পী কোথায় অনুষ্ঠান করবেন কয়টি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, কোথায় অবস্থান করবেন সব নির্ধারিত থাকে এবং অনুষ্ঠান আয়েজককেই তা নিশ্চিত করতে হয়। এবং এই বিষয়গুলো পি-থ্রি ভিসায় পরিষ্কার উল্লেখ্য থাকে এর জন্য জনপ্রতি ন্যূনতম ৩ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় হয় অনুষ্ঠানের আয়োজকের। এই নিয়মেই আমাদের স্বনামখ্যাত শিল্পীরা আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে সন্মানের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু ইদানিং এর পরিবর্তে সহজ উপায়ের ভ্রমণ ভিসায় কতিপয় শিল্পী মডেলদের আমেরিকায় অনুষ্ঠান করার ফলে জেনুইন আর্টিস্টদের কাজের সুযোগ গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
পার্থ বড়–য়া বলেন,‘ভিজিট ভিসা নিয়ে কোন কমার্শিয়াল অনুষ্ঠানে যাতে শিল্পীরা অংশ না নেই সেই নির্দেশনা দেয়া হয় সবাইকে। কমার্শিয়াল অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হলে অবশ্যই পি-থ্রি ভিসা নিয়ে যেতে হবে।’ তবে কোন চ্যারিটি শো হলে আপত্তি নেই বলেও ব্যক্ত করা হয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে।’ শিল্পী ফাহমিদা নবীকেও ডাকা হয় তবে তিনি যেতে পারেন নি বলে জানান।
নগর বাউল ব্যান্ড এবং জেমসের মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, আমাদেরও ভ্রমণ ভিসা আছে কিন্তু ঐ ভিসায় আমরা কখনও বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে অংশ নেই না।
শিল্পীদের একাধিক সূত্র জানায়, আমেরিকায় এমন দুই তিনজন আয়োজক এবং ঢাকার দুয়েকজন এজেন্ট আছে। যারা খূঁজে বেড়ান বাংলাদেশের কোন শিল্পী অভিনেতা অভিনেত্রী মডেলের কাছে আমেরিকান ভ্রমণ ভিসা আছে। না থাকলে পরমর্শও দেন ভ্রমণ ভিসা গ্রহণের। এমন কয়েকজনকে এয়ার টিকিট দিয়ে তাদের আমেরিকা নেয়া হয়। ইদানিং মধ্যমসারী আর উঠতী মডেল অভিনেত্রী এবং শিল্পীদের এই তালিকায় বেশী পাওয়া যাচ্ছে। এর জন্য ভূগেছেনও অনেকেই। অনুষ্ঠানের পর পারিশ্রমিক পাওয়া দূরে-পারফর্মারদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও না করে আয়োজক পালিয়ে যান। ফলে নানারকম বিপাকে পরার অভিজ্ঞতা শিল্পী মহলের অনেকেরই হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।