পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চৈত্র মাসের শেষের দিকের হঠাৎ শুরু হওয়া ‘অকাল’ বর্ষণে সমগ্র চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ব্যাপক এলাকা গতকাল (বুধবার) ফের প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল নামে। দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়ার সাথে মুহুর্মুহু বজ্রসহ মাঝারি থেকে ভারিবর্ষণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বর্ষাকালীন অবস্থার মতোই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ৬০ মিলিমিটার। এ সময় চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর ৫৮, স›দ্বীপে ৩৫, কক্সবাজারে ৫৭, রাঙ্গামাটিতে ১২, ফেনীতে ৪৪, সিলেটে ১৭, শ্রীমঙ্গলে ৪৮ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। গতকাল ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগেও হালকা থেকে মাঝারি, সাময়িক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকায় বিরাজমান একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশের (ট্রাফ) প্রভাবে এবং পূবালী বায়ুর সাথে পশ্চিমা বায়ুর মিলনের ফলে গত তিন দিন ধরে চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি, কোথাও কোথাও ভারিবর্ষণ হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ স্থানে আকাশ মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। আজও দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনের মতো বজ্রসহ ভারিবর্ষণে গতকালও চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুর, প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, বহদ্দারহাট, শোলকবহর, ষোলশহর, নাসিরাবাদ, বাকলিয়া, খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ অনেক এলাকা হাঁটু থেকে এমনকি কোমর সমান কাদা পানিতে প্লাবিত হয়। অনেক দোকান-পাট ও বসতঘর থেকে কাদাপানি ও ময়লা-জঞ্জাল অপসারণে গত রাত অবধি লোকজনকে ব্যস্ত থাকতে হয়।
আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ২ দিনে বৃষ্টিপাতের ধারা কমে আসতে পারে। এর পরবর্তী ৫ দিনে সার্বিক তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়ার বিশেষ সতর্কবার্তায় জানা গেছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর-উপকূল উত্তাল হয়ে উঠেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।