পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী ফাউন্ডেশনের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ৬ বেলা ৩টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলেম-ওলামা মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সউদি আরবের পবিত্র মক্কার হারাম শরীফ ও মদিনার মসজিদে নববীর খতিবসহ বাংলাদেশের প্রায় দুই লাখ ওলামা-মাশায়েখ অংশ নেবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
এ জন্য অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে সউদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের অনুমোদনক্রমে সম্মানিত মেহমান হিসেবে থাকবেন পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর ভাইস প্রেসিডেন্ট শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন নাসের আল খুজাইম এবং পবিত্র মসজিদুন নববীর ইমাম ও খতিব শায়খ ড. আবদুল মুহসিন বিন মুহাম্মদ আল কাসিম। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা ৬ সদস্যের সউদি প্রতিনিধিদল নিয়ে ৪ এপ্রিল ঢাকায় আসেন। ইফার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত দেশের বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিব, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ৬৫ হাজার শিক্ষক ও কর্মচারী, ৯০ হাজার প্রশিক্ষিত ইমাম, ৬১ হাজার ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্যসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আলেম-ওলামা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারাও এ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সউদির ইমামদের সাক্ষাৎ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সফররত সউদি আরবের ইমামরা। গতকাল বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইসলামের প্রচার ও প্রসারসহ মুসলিম বিশ্বের কল্যাণের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আলেম-ওলামা মহাসম্মেলন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ৬ এপ্রিলের আলেম-ওলামা মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইফা। অনুষ্ঠানের চ‚ড়ান্ত প্রস্তুতি দেখতে গত রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আবদুল্লাহ ও ইফার মহাপরিচালক। এ সময় তারা অনুষ্ঠানের সর্বশেষ প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজ নেন। অনুষ্ঠানস্থলের সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন ইফা ডিজি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাধিক আলেম-ওলামার অংশগ্রহণে এটাই হবে সবচেয়ে বড় সম্মেলন। অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা যা বললেন : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিসহ আলেম-ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশবাসী সাড়া দেয়ায় ইতোমধ্যেই জাতি ঐক্য গড়েছে বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, জনগণ জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছে। সরকারই জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়েই জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ রুখবে, রুখেছে। জঙ্গিবাদে কোনো স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারবিরোধী চক্রান্ত ও সন্ত্রাসী কর্মকাÐ শুরু হয়েছিল। আমরা তা কঠোর হস্তে দমন করেছি। এরপর শুরু হয় গুপ্তহত্যা। এটাও আমরা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন শুরু হয়েছে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা-এটাও দমন করতে।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে জাতি ঐক্য গড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সঙ্কট মোকাবেলায় সমগ্র জাতি এখন একাত্তরের মতো সংঘবদ্ধ। তিনি বলেন, সরকারের জঙ্গি দমন ইস্যুতে ইতোমধ্যেই জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেছে। হয়তো মুষ্টিমেয় চেনা লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জঙ্গিবাদকে সমর্থন করছে। এছাড়া একাত্তরে যেমন সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল তেমনি জঙ্গিদমন ইস্যুতে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।