Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুক্তিপণের জন্য অপহৃত স্কুলছাত্র মাহিনের লাশ ২৫ দিন পর মিলল

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিপনের দাবিতে রাজধানীর মিরপুর থেকে অপহরণের দীর্ঘ ২৫ দিন পর স্কুলছাত্র মো. মাহিনের কঙ্কালসার লাশ মিলেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভারের বিসিক ট্যানারি এলাকার নদীর পাড়ের বাউন্ডারির ভেতর থেকে লাশটি উদ্ধার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাশটির শুধু মাত্র মাথার খুলি আর হাড় মিলেছে। আজ বৃহস্পতিবার লাশের ময়নাতদন্ত হবার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল সূত্র।
ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার হরিগঞ্জ গ্রামের রিকশাচালক মহিউদ্দিনের একমাত্র পুত্র মাহিন। সে সপরিবারে দক্ষিণ পাইকপাড়ার ৩৮৭/১বি ভাড়া বাসায় বসবাস করত। লেখাপড়া করত মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকার আলোর পথ স্কুলে। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল মাহিন। গত মাসের ১২ তারিখ স্কুল শেষে বাসায় ফিরছিল সে। পথে ঝিলপাড় মোড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় মাহিন। ঘটনার পর তার বাবা এ ঘটনায় প্রথমে মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন মাহিনের বাবার মোবাইলে একটি ফোন আসে। তখন মাহিনকে অপহরণের কথা বলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনার পরে অপহরণ মামলা করেন মহিউদ্দিন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. মতিউর রহমান জানান, মাহিন অপহরণের পর একটি মোবাইল ফোন থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসামিরা। ওই মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে মাহিনের চাচা সুজন (২০) ও তার বন্ধু শহিদুলকে (২২) গ্রেফতার করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তারা জানায়, এ ঘটনায় সাব্বির নামে তাদের অপর এক বন্ধু জড়িত। বর্তমানে সাব্বির পলাতক রয়েছে। আসামিদের দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভারের বিসিক এলাকা থেকে স্কুলছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, তিন বন্ধু পরিকল্পনা মোতাবেক মাহিনকে অপহরণ করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা আদায় হলে প্রত্যেকে সমান ভাগে ভাগ করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার সাথে চাচা জড়িত থাকায় মুক্তিপণ পেয়েও মাহিনকে ছেড়ে দিলে সে বাসায় গিয়ে সব প্রকাশ করে দিতে পারে। এজন্য ঘটনার দিনই সকল প্রমাণ ধ্বংস করার জন্য ভুক্তভোগীর চাচা সুজনের পরিকল্পনা মোতাবেক শিশুটিকে হত্যা করা হয়।
হত্যার ধরণ জানতে চাইলে মতিউর আরো জানান, তারা তাকে গাড়িতে করে নিয়ে যায় সাভারের সিঙ্গাইর ব্রিজের পাশে বিসিক ট্যানারির বাউন্ডারির দেয়ালের শেষ প্রান্তে। নদীর পাড়ের সিসি বøকের পাশে নিয়ে তার মাথা একটি গেঞ্জি দিয়ে ঢেকে দেয়। পরে টেপ দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে ওই স্থানেই একটি গর্ত করে লাশ রেখে পিলার দিয়ে চাপা দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ