Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যতে গভীর উদ্বেগ, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান

আইপিইউ সম্মেলনে পাঁচ দফা ঢাকা ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শেষ

| প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : বিশ্বব্যাপী প্রকট রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্টার পার্লামেন্টারী ইউনিয়ন (আইপিইউ)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। পার্লামেন্টকে আরো প্রতিনিধিত্বশীল করতে হবে, বৈষম্য নিরসনে দ্রæত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই আহŸান মধ্য দিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আইপিইউ’র ১৩৬তম সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ৫ দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষে ৫ দফা ঢাকা ঘোষণা উত্থাপন করা হয়। একইসঙ্গে ওই ঘোষণা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহŸান জানানো হয়। এরআগে সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে সর্বসস্মতিতে এই ঘোষণা গ্রহণ করা হয়। সেখানে আইনী কাঠামো শক্তিশালী করা, পার্লামেন্টকে আরো প্রতিনিধিত্বশীল করা, সকলের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করা, সামাজিক সংলাপ ও মানব সম্পদ বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা ঘোষণা পাঠ করেন আইপিইউ’র ১৩৬তম সম্মেলনের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, সেক্রেটারী জেনারেল মার্টিন চুনগং, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ঘোষণা উত্থাপনকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈষম্য নিরসন করে মর্যদা সম্পন্ন জীবন নিশ্চিত করতে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মূল প্রতিপাদ্যের উপর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিভাবে বৈষম্য নিরসন করা যায় সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উঠে এসেছে। তার ভিত্তিতে বিশ্বের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আইপিইউ’র সদস্য দেশগুলো এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইপিইউ সভাপতি বলেন, এখান থেকে যেসব প্রতিনিধি ফেরত গেছেন তারা এখন নিজ নিজ দেশে গিয়ে ঢাকা ঘোষণার বাস্তবায়নের নিজেদের পার্লামেন্টকে অন্তর্ভূক্ত করবেন। এর আগে যখন ভিয়েতনামের হ্যানয়ে আমরা সম্মেলন করেছিলাম তখন সেখানকার পার্লামেন্টও হ্যানয় ঘোষণার বাস্তবায়নে কাজ করেছে। সে হিসেবে আমোদের জাতীয় সংসদেরও এখানে ভ‚মিকা রাখার সুযোগ আছে। এই সম্মেলন আইপিইউ টিভি ও সবুজ সম্মেলনের জন্য স্মরণীয় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে তা কমে আসবে। সহযোগিতার মনোভাব দেখাতে হবে। ঢাকা আমার জন্য ভাগ্যবান শহর। কোনো ধরনের বিরোধিতা ছাড়াই আমাকে আরো চার বছরের জন্য পুনঃনিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই সম্মেলনে নতুন দু’টি দেশকে সদস্য পদ দেয়া হয়েছে। বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে তিনি সক্রিয় থাকবেন বলে প্রতিশ্রæতি ব্যক্ত করেন।
ঢাকা ঘোষণায় বলা হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য কমাতে মানবাধিকার সুরক্ষায় আইনী কাঠামো শক্তিশালী এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। সকলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্থান হিসেবে আইনসভাকে শক্তিশালী করতে হবে। সকল জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। রাজস্ব আহরণের আইনী কাঠামো শক্তিশালী করা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ঘোষণায়।
আরো বলা হয়, বৈষম্যের কারণে সমাজকে অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ক্ষুণœ হচ্ছে। এরফলে সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। আরো বলা হয়, কঠিন বৈষম্য ব্যক্তিকে তার পরিপূর্ণ বিকাশে বাধাগ্রস্ত করে। তার মানবাধিকারও বাধাগ্রস্ত করে। জনগণের একটি বড় অংশ তাদের ক্রয় ক্ষমতা হারায়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়। ক্ষমতা ও সম্পদ যদি মাত্র কয়েকজন ব্যক্তির কাছ কুক্ষিগত থাকে তাহলে সামাজিক সম্প্রীতি হেয়প্রন্ন হয়। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সুবিধাজনক নয়। এরকম বৈষম্য সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ায়। পৃথিবীর অনেক দেশ ইতোমধ্যেই এ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। আমরা যদি এটির পরিবর্তন ঘটাতে চাই তাহলে একটি সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।
ঘোষণায় বলা হয়, এসডিজির ১০ নম্বর লক্ষ্যমাত্রায় যেখানে বলা হয়েছে, দেশে দেশে বৈষম্য কমাতে হবে। সেই প্রসঙ্গে আমরা অঙ্গীকার করতে চাই সকল সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য নিরসন করবো। আমরা লিঙ্গ বৈষম্য যেটি একটি বহুমুখী সমস্যা। তার মুলোৎপাটন করতে চাই। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি যে, পৃথিবীর সম্পদের এক থেকে দশ শতাংশ প্রথম সারির জনগণের হাতে আছে। যার কারণে বেকার জনগোষ্ঠী আছে, অনেকেই চাহিদা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছে না। অনেকেই কাজের অনুপাতে স্বল্প বেতন পাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য’র সুযোগ কমে আসে। তারা প্রায়শই পরিবেশ দূষণ, বৈশ্বিক জলবায়ু দূষণের শিকার হয়। তারা সহিংসতা এবং বৈষম্যের শিকার হয়।
ঘোষণায় বলা হয়, মহিলারা সাধারণত পুরুষের তুলনায় একই কাজ করার পরও কম বেতন পায় এবং তাদের কাজের জন্য অনেক বাধা পেরুতে হয়। কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। গৃহকার্য করার জন্য কোন বেতন পায় না। আর সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে বিশেষ করে মহিলা, তরুণ, আদিবাসী, অভিবাসী, প্রতিবন্ধী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে যায়। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটনাতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির উন্নয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ঘোষণায় আরো বলা হয়, পৃথিবীর অল্প কিছু বহুজাতিক কোম্পানী বাজারে এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে প্রাধান্য বিস্তার করে। এর কারণে প্রতিযোগিতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তরা টিকে থাকতে পারে না। বেকার ও দারিদ্র্য বাড়ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো দরকার।
ঢাকা ঘোষণায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সম্মেলন চলাকালে রাশিয়ার পিন্টার্সবার্গে বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। সেখানে হতাহতদের ঘটনায় এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়েছে। সম্মেলনে শোক প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। এসময় সিরিয়ায় রাসায়নিক আক্রমণের নিন্দা জানানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে রাসায়নিক অস্ত্র যে নিষিদ্ধ, তা বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধে প্রস্তাব নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ‘সমাজের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সবার মর্যাদা ও মঙ্গল সাধন’ এই সেøাগানকে সামনে রেখে গত শনিবার রাতে ৫ দিনের এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মূল অধিবেশন শুরু হয়। মূল প্রতিপাদ্যের ওপর মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন নোবেল বিজয়ী শিশু অধিকার কর্মী কৈলাশ সত্যার্থী। পরে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এই প্রতিপাদ্যের ওপর আলোচনা করেন। এর বাইরে আইপিইউ’র বিভিন্ন কমিটিতে বেশ কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো, কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আরেক দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধের প্রস্তাব এবং কয়েকটি দেশে দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব স¤প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানানো হয়।
সম্মেলন স্থলের পাশেই আইপিইউ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয় এই অধিবেশনে ১৩২টি দেশের দেড় হাজারেরও বেশী প্রতিনিধি অংশ নেয়। বাংলাদেশের এই সম্মেলন স্মরণীয় হয়ে থাকলো ‘আইপিইউ ওয়েব টিভি চালু এবং পরিবেশসম্মত সবুজ সম্মেলন আয়োজনের জন্য। আগামী অক্টোবরে রাশিয়ায়ে পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৪২ দেশের ৪৫৯ এমপির মানবাধিকার লঙ্ঘন : ২০১৬ সালে ৪২ দেশের ৪৫৯ জন সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) মানবাধিকার সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। তাদের মধ্যে ৩৩৬ জন বিরোধী দলের এমপি, ১১২ জন সরকারি দলের এমপি এবং ১১ জন রয়েছেন স্বতন্ত্র এমপি। এমপিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আমেরিকা মহাদেশে। ২০১৬ সালে এ মহাদেশ থেকে মোট ১৫৫ জন এমপির মানবাধিকারের অভিযোগ পেয়েছে আইপিইউ। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে এশিয়া মহাদেশে ১১০ জন, আফ্রিকায় ৮৯ জন, ইউরোপে ৬৩ জন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় ৩৯ জন এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ৩ জন এমপির মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছে আইপিইউ-এর মানবাধিকার সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি। এসব তথ্য তুলে ধরেন আইপিইউ-এর জেনারেল সেক্রেটারি মার্টিন চুংগুং।
পরবর্তী আইপিইউ সম্মেলন রাশিয়ায় : ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) পরবর্তী ১৩৭তম সম্মেলন রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাচ্ছে। আর এতে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া দ্বারা আক্রান্ত ইউক্রেন। দেশটির এমপি বি. টারজোক বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। দেশটি চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আইপিইউ যেসব বিষয় ধারণ করে তা রাশিয়ার মধ্যে নেই। তাই ওই দেশে অনুষ্ঠেয় আইপিইউ-এর সম্মেলন যাতে না হয় সেই দাবি জানচ্ছি। বি. টারজোক বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে লুটতরাজ চলাচ্ছে। আমরা ইউক্রেনিয়ানরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি বলেন, রাশিয়া যদি জাতিসংঘের নিয়মগুলো মেনে চলে তাহলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
আমরা ফুটবলে, তোমরা ক্রিকেটে জনপ্রিয়: এলবার্টো হেবার
বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে অন্যতম ক্রিকেটেও। টাইগাররা এখন অনেক বাঘা বাঘা দলকেও সহজে হারায়। দেশ ছাড়িয়ে এবার বিদেশী সংসদ সদস্যের মুখে টাইগারদের প্রশংসা। আর এই প্রশংসা করেছেন আইপিইউ সম্মেলনে অংশ নেয়া উরুগুয়ের সংসদ সদস্য লুই এলবার্টো হেবার। লুই এলবার্টো হেবার বলেন, আমাদের দেশ ফুটবলে অনেক ভাল খেলে। এটা গর্ব করার মত। আর তোমাদের দেশ ক্রিকেটে অনেক ভাল খেলে, অনেক জনপ্রিয়ও। র‌্যাংকিং এই অনেক ভাল অবস্থানে আছে বলে শুনেছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ