পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়া সেই হাসান তারেক পুত্র সন্তানের জনক হয়েছেন। গতকাল (বুধবার) বেলা ১১টায় নগরীর আন্দরকিল্লা রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদনে তার স্ত্রী ফৌজিয়া আইনুন নাহার রুমির কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে পুত্র সন্তান। পরিবারে নতুন অতিথি আসার পরও কারও মুখে হাসি নেই। কারণ তুলে নেয়া হাসান তারেকের এখনও সন্ধান মিলেনি। খোঁজ নেই তারেকের ছোট ভাই মোয়াজ্জেম হোসেনেরও। নাতি কোলে নিয়ে তাদের মা মিনা বেগম অঝোরে কাঁদছেন। আল্লাহর দরবারে হাত তুলে বলছেন আল্লাহ আমার দুই সন্তানকে ফিরিয়ে দাও। তার আহাজারিতে এসময় হাসপাতালের বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
গত ২৪ মার্চ নগরীর আল-ফালাহ গলির বাসা থেকে দুলাভাই পরিবহন ব্যবসায়ী এস এম শফিকুর রহমানের সাথে তুলে নেয়া হয় তারেক ও মোয়াজ্জেমকে। তিনজনকে তুলে নেয়ার ১৩ দিন পার হলেও তাদের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানেনা পরিবার। পরিবারের সদস্যরা থানা-পুলিশে ধর্ণা দিয়েও কোনো জবাব পাচ্ছেন না। খুলশী থানায় ঘটনার পর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। ডিবি পুলিশে গিয়েও অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, তারা এ তিনজনকে তুলে নেননি। তবে কারা তাদের তুলে নিয়েছে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নয় বলে জানান তারা।
এস এম শফিকুর রহমানের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া টুম্পা ইনকিলাবকে বলেন, আমরা এখনও তাদের পথ চেয়ে অপেক্ষায় আছি। আমরা জানতে পেরেছি ডিবি পুলিশ তাদের নিয়ে গেছে। এমনও খবর আছে তাদের ঢাকায় মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে আমাদের কোনোকিছুই বলছে না। তিনি আবারও বলেন, আমার স্বামী ও দুই ভাই যদি কোন অপরাধ করে থাকে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।