পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাওকান্দি কালিগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করাকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষককে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। আহত এক শিক্ষক স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আহতরা হলেনÑ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন (৫৫), সহকারী শিক্ষক (শরীর চর্চা) সাইফুল ইসলাম (৪০) ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির ছেলে রবিউল ইসলাম (৪২)। অন্যদিকে শিক্ষকদের পেটানোর দৃশ্য দেখে দুইজন শিক্ষার্থী আতঙ্কে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
জানা যায়, দুর্গাপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ সরদারকে না জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটির তালিকা করায় গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ সরদার লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আরো দুইজন মারধরের শিকার হন। এ ঘটনায় পুঠিয়া-দুর্গাপুরের এমপি আদুল ওয়াদদু দারা গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ গ্রুপের লোকজন পালিয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেক লোকজন, লাঠি হাসুয়া, নিয়ে আমাদের বিদ্যালয়ে আসেন। প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে মারধর করে। আমরা আতঙ্কে চিৎকার করি। পরে পুলিশ আসে।
প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষে রাজশাহী মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে তালিকা পাঠানো হয়। আব্দুল মজিদকে না জানিয়ে ওই তালিকা কেন বোর্ডে পাঠানো হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আব্দুল মজিদ লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তার শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলহাজ আব্দুল গফুর শাহর ছেলে রবিউল ইসলাম বাধা দিলে আব্দুল মজিদ তাদের সরে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে লাঠি ও হাতুড় দিয়ে তাকে পেটানো হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম মারপিটের শিকার হন। দুর্গাপুর থানা পুলিশ জানায় ব্যাপারটি তারা শুনেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।