পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনায় শিশু রাকিব হাওলাদারকে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি ওমর শরিফ ও মিন্টু খানের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে। বিচারক বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি, দুই পক্ষের তথ্য-প্রমাণ বিচার করে যথার্থ রায় দেয়ার। যারা অফেন্ডার, তাদের মধ্যে ভিকটিমকে বাঁচানোর একটা চেষ্টা ছিল। এটা তথ্য প্রমাণে এসেছে। রায়ে বলা হয়, জরিমানার অর্থ রাকিবের পরিবারকে দিতে হবে। তা না হলে দুই আসামিকে আরও দুই বছর করে কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির বলেন, ঘটনার পর আসামিরা রাকিবকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলেন। এসব বিবেচনায় আদালত দুই আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিয়েছেন। আসামি শরীফের আইনজীবী গোলাম মো. চৌধুরী আলাল রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আংশিক ন্যায়বিচার পেয়েছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।
১২ বছর বয়সী রাকিব এক সময় খুলনা নগরীর টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে শরীফের মোটর ওয়ার্কশপে কাজ করত। কাজ ছেড়ে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৫ সালের ৩ অগাস্ট তাকে হত্যা করেন শরীফ ও তার দূর সম্পর্কের চাচা মিন্টু। ওই ওয়ার্কশপে আটকে মোটরসাইকেলে হাওয়া দেওয়ার কমপ্রেসারের মাধ্যমে মলদ্বারে বাতাস ঢোকানো হলে রাকিবের পেটের ভেতরের নাড়ি, মলদ্বার, মূত্রথলি ফেটে রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। জজ আদালত শরীফ ও মিন্টুকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল। খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালত ওই বছরই ১৮ নভেম্বর ওমর শরীফ ও মিন্টুর ফাঁসির রায় দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।