Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বুলবুল ও গউছের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি করপোরেশনের  মেয়র  মোসাদ্দেক  হোসেন বুলবুলকে দ্বিতীয় এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছকে তৃতীয় দফায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ  মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাদের বরখাস্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। আগামী ৩ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে হবে। এর আগে গত সোমবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন একই বেঞ্চ। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব  হোসেন ও আমিনুল হক হেলাল। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। আদালতের আদেশের পর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউসের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে।  প্রথমবার সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২ এপ্রিল বুলবুল মেয়রের দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে যান। এরপর ফের সাময়িকভাবে বরখাস্ত হন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় ২০১৪ সালে দেয়া সর্বশেষ সম্পূরক অভিযোগপত্রে তাকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই বছর ২৮ ডিসেম্বর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কারাগারে থেকে মেয়র নির্বাচিত হন।
কারাবন্দি অবস্থায় তৃতীয়বারের মতো হবিগঞ্জ নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এক আদেশে মেয়র গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
চলতি বছর ৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান জিকে গউছ। পরে ২৩ জানুয়ারি জি কে গৌছকে বহিস্কারের আদেশটি স্থগিত করে মেয়র পদ ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। আপিল বিভাগও বরখাস্তের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন। এরপর গত ২৩ মার্চ মেয়র হিসেবে হবিগঞ্জ পৌরসভার দায়িত্ব নেন। তবে দায়িত্ব গ্রহণের ১১ দিনের মাথায় গত ২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে ফের বরখাস্ত করে। সাবেক এমপি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলা মামলায়ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ