Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের নিষিদ্ধ নোটের ৫০ কোটি রুপি নিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা বিবি কর্মকর্তাদের
হাসান সোহেল : ভারতের নিষিদ্ধ ৫শ’ ও ১ হাজার রুপির নোট নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশে ৫০ কোটি রুপির সমপরিমাণ এই নোট আছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। ভারতে বসবাসকারী ব্যক্তিদের জন্য গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে বাতিল হওয়া নোট বদলের সুযোগ দেয়া হলেও তা বাংলাদেশের জন্য নয়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কাছেও ৫০ কোটি রুপির সমপরিমাণ ৫শ’ ও ১ হাজার রুপির নোট আছে। এখন এ নোটগুলোর কী হবেÑ সে উত্তর নেই কারো কাছে। এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মনে করছেন, ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপই বাংলাদেশ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। গত ৮ নভেম্বর থেকে ভারত ৫শ’ ও ১ হাজার রুপির নোট নিষিদ্ধ করার কিছুদিন পরই বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে চিঠি লেখেন। চিঠিতে ৫০ কোটি রুপির সমপরিমাণ নোট ফিরিয়ে নিতে আরবিআই গভর্নরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ট্রেজারি ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি রুপির সমপরিমাণ বাতিল নোট আছে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়। এছাড়া এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠান গভর্নর।
আরবিআই-কে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের চিঠি অনুযায়ী, বিভিন্ন সময়ে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দর ব্যবহারকারী যাত্রীর কাছ থেকে অবৈধভাবে বহন করা রুপি জব্দ করেছে শুল্ক কর্তৃপক্ষ, যা পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারিতে জমা হয়।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানের বর্ডার হাটে রুপিতে লেনদেন করা যায়। বর্ডার হাটে অস্থায়ীভাবে বসানো স্থানীয় সোনালী ব্যাংক শাখার বুথ থেকে রুপি জমা দিয়ে টাকা নেন স্থানীয় অধিবাসী ও বিক্রেতারা। এভাবেও ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট সোনালী ব্যাংকের হাতে এসে পড়েছে। ৫শ’ ও ১০০০ হাজার রুপির প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার নোট সোনালী ব্যাংকের হাতে এসেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
চিঠিতে গভর্নর ফজলে কবির আরো লেখেন, ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট নিষিদ্ধকরণ ভারতীয় অর্থনীতিকে আরো ভালো কাঠামোতে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। তবে এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত বাণিজ্য, বাংলাদেশী ভ্রমণপিপাসু ও চিকিৎসার জন্য ভারতে গমনকারীদের কিছুটা অসুবিধায় ফেলছে; যা দ্রæত নিরসন করা উচিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের চিঠি দেয়ার আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের কাছে থাকা রুপিগুলো সম্পর্কে আরবিআই কলকাতা কার্যালয়ে তথ্য জানিয়েছে কলকাতায় অবস্থিত সোনালী ব্যাংক শাখা। তখনও নোট পরিবর্তনে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দেশটি। এসব নোট পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো হালনাগাদ তথ্য দিতে পারেননি বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা ইনকিলাবকে বলেছেন, ‘৫শ’ ও ১ হাজার রুপির নোট পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ