Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সহায়তা প্রস্তাব গৃহীত : বড় দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধে ৪৪-১০ ভোট পড়েছে

আইপিইউ সম্মেলন শেষ হচ্ছে আজ

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পঞ্চায়েত হাবিব : গণতন্ত্র, জঙ্গিবাদ বা কোনো একটা ইস্যু নিয়ে দুর্বল দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বড় ও শক্তিশালী দেশগুলো যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে (আইপিইউ) সম্মেলনে। বড় দেশের হস্তক্ষেপ বন্ধে প্রথমবারের মতো ৪৪-১০ ভোটে  প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে। বাইরের কোনো রাষ্ট্রে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে তাকে জাতিসংঘের অনুমোদন নিতে হবে। অন্যদিকে শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে চতুর্থ দিনের আলোচনায় কিছু কিছু বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানো যায়নি। এ ছাড়া জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়েও গতকাল মঙ্গলবার আলোচনা হয়েছে। আজ বুধবার বহুল আলোচিত ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের অ্যাসেম্বলি শেষ হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মেলনের অ্যাসেম্বলির চতুর্থ দিনে ‘শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক’ আইপিইউর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় দিনভর এ খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে তীব্র বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটির পর প্রস্তাবটি পাস হয়।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ অধিবেশন শুরু হয়। আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী উপস্থিতিতে এই অধিবেশনে জরুরি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চতুর্থ দিনে ‘শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক’ আইপিইউর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় দিনভর এ খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে তীব্র বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাভুটির পর প্রস্তাবটি পাস হয়।  গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং শান্তি ও বিশ্ব নিরাপত্তার বিষয়ে পাঁচ দিনের সম্মেলনের শেষ দিনে আজ বুধবার এটি গৃহীত হওয়ার কথা রয়েছে। এর কমিটি বৈঠকে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়। তবে এর বিপক্ষে ভোট দেয়, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ে প্রমুখ। বেলজিয়াম  ভোটদানে বিরত ছিল। আইপিইউর ইতিহাসে এই প্রথম সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধে প্রথমবারের মতো এমন প্রস্তাব গ্রহণ করা হল। প্রস্তাবটি নিয়ে সম্মেলনে অংশ নেয়া উন্নত এবং উন্নয়নশীল  দেশগুলোর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। টানা তিন দিন আইপিইউর শান্তি ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপকমিটির বৈঠকে প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে  অনেক বিতর্ক হয়েছে।
এসময় কমিটিতে সভাপতিত্ব করছিলেন মেক্সিকোর প্রতিনিধি দলের প্রধান লোরা রোজাস।  স্টাডিং কমিটিতে গৃহীত  প্রস্তাবটি খসড়া  বুধবার এক্সিকিউটিভ কমিটিতে যাবে। ১৭ সদস্যের ওই এক্সিকিউটিভ কমিটির সভাপতি আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী। এছাড়া ছয়জন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১০ জন সদস্য রয়েছে এক্সিকিউটিভ কমিটিতে। সেখানেই চ‚ড়ান্ত হবে প্রস্তাবটি।  বিপক্ষে ভোট দেয়া দেশের ফিনল্যান্ডের প্রতিনিধি বলেন, প্রস্তাবটি আমরা ঠিকমতো বুঝতে পারি নাই। যে কারণে আমি মনে করি অনেক দেশের প্রতিনিধিই এই প্রস্তাব বুঝতে না পেরে ভোট দেয়নি। এসকল বিষয়ে আইপিইউ সেক্রেটারি জেনারেল মাটিন চুংগং সাংবাদিকদের বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। সদস্য দেশগুলো আলোচনা করছে। আশাকরি ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা এমন কিছু করব না, যাতে আন্তর্জাতিক কোনো আইন লঙ্ঘিত হয়। আন্তর্জাতিক আইনের আলোকেই খসড়াটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী  ফারুখ খান বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম কোন রাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ বন্ধের ভূমিকা নিয়ে আজও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে পূর্বের প্রণীত রেজ্যুলেশনটি সংশোধনের বিষয়ে বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। রেজ্যুলেশনটি নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৪৩টি সংশোধনী প্রস্তাব আলোচনা হচ্ছে এবং এর উপর ভোট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১০২টি সংশোধনী উপর আলোচনা চলছে। স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনো দেশই চায় না। তবে কোনো দেশের উপর আক্রম করলে তা জাতিসংঘের অনুমোদন নিতে হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে আজকে আলোচনা আজ শেষ হবে। এই বিষয়ে রেজ্যুলেশনটি চূড়ান্ত করা হবে।
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দল : যুক্তরাজ্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করতে চায় জানিয়ে ব্রিটিশ এমপি নাইজেল ইভানস বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে তার দেশের বিচ্ছেদের সুফল বাংলাদেশও পাবে। আইপিইউ সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকায় আসা যুক্তরাজ্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান ইভান্স মঙ্গলবার ব্রিটিশ হাইকমিশন আয়োজিত এক ডিনারে এ কথা বলেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রিবল ভ্যালি আসনের প্রতিনিধিত্ব করা নাইজেল ইভান্স বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। আর ব্রেক্সিট আমাদের সামনে যেসব সম্ভাবনা নিয়ে আসছে, তার সুফল বাংলাদেশও যাতে পায়, তা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। ব্রেক্সিটের এই সময়ে কমনওয়েলথকে জোরদার করার কথাও বলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সিলেক্ট কমিটির ভাইস চেয়ার ইভান্স। সেই ১৯৭৩ সালের পর, যখন আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিলাম, কমনওয়েলথভুক্ত কিছু দেশ হয়তো ভেবেছিল যে আমরা তাদের ছেড়ে যাচ্ছি। আজ আমি সেজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। কমনওয়েলথ সব সময়ই আমাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ জায়গা নিয়ে আছে। এখন আমরা চাই, কমনওয়েলথ আবার একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়াক। সবার জন্য সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়তে যুক্তেরাজ্যের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশও যোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই ব্রিটিশ এমপি। কমনওয়েলথের প্রথম কাতারেই আছে বাংলাদেশ। আমি চাই, আমাদের দুই দেশের যোগাযোগ এমন এক পর্যায়ে উন্নীত হোক, যেমনটা আগে কখনো ছিল না।
নাইজেল ইভান্স বলেন, আসুন, এ বিষয়টিকে আমরা সম্ভাবনার একটি নতুন দুয়ার হিসেবে দেখি, যার মাধ্যমে আমরা পরস্পর হাত মেলাতে পারি, আলিঙ্গন করতে পারি, বলতে পারি- আমরা প্রতিবেশী, আমরা বন্ধু, আমাদের একটি ইতিহাস আছে, যেখানে আমরা এক ছিলাম এবং আমার বিশ্বাস, আমাদের ভবিষ্যতও একসূত্রে গাঁথা।
বিতর্কিত বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ \ বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফকে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আইপিইউ সম্মেলনে বিতর্ক উঠেছে। এই দু’টি সংস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হলে কাজের পরিধি কি হবে সে বিষয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আন্তজার্তিক ওই সংস্থা দু’টির সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেননা এরা কেবলমাত্র ঋণ দিতে পারে। অন্য যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত দেয়ার সক্ষমতা নেই। আর, প্রয়োজন মনে করলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ প্রদত্ত ঋণের বিষয়ে তদারকি করতে পারে।
মঙ্গলবার স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইউনাইটেড নেশন অ্যাফিয়ার্সের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই কমিটির চেয়ারপারসন সুইডেনের সংসদ সদস্য এন্টি আভসান ইতোপূর্বে কমিটির বৈঠকে সংস্থা দু’টির বিষয়ে ওই আলোচনা হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এই আলোচনাকালে এসডিজির অর্জনের বিষয়টি উঠে এসেছে। এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অংশীদারিত্ব বাড়ানো এবং আরো কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রতিনিধিরা তাগিদ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল : বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের প্রধান ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘এটা সত্য  কোনো দেশই অন্য দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এটা করাও উচিত না। আইপিইউ যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে, তাহলে আমি মনে করি কিছুটা হলেও ওইসব মোড়ল দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গেøাল (এমডিজি) বাস্তবায়ন সফলভাবে করতে পেরেছিলাম বলে বিভিন্ন আন্তজার্তিক সংস্থা তাকে বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এসডিজি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ। তবে, এসডিজি নিয়ে আলোচকরা যেসব বক্তব্য রেখেছেন এর জন্য আমি গর্বিত। কারণ সবাই বলেছেন, এসডিজি বাস্তবায়নে একত্রে কাজ করতে চান। তাই আইপিইউ প্রতিনিধি সদস্যদের কাছে অনুরোধ জানাবো, যেন একসঙ্গে কাজ করেন। তাহলে এসডিজি অর্জন সম্ভব হবে। সউদী আরবের প্রতিনিধি বলেন, বিশ্বের দরিদ্র মানুষের মধ্যে নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধশালী করতে হলে নারীদের শিক্ষিত করতে হবে। পাশাপাশি ভবিষৎ প্রজন্মের কথা বিবেচনায় করেই নারীদের স্বাবলম্বী করা দরকার।
বাহরাইনের প্রতিনিধি বলেন, যে কোনো স্পর্শকাতর সমস্যা সমাধানে উন্নত-অনুন্নত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার ও সংসদ একত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি এসব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। বাহরাইন নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে এবং আগামী ২০৩০ সাল মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ভালো দিকগুলো, মন্দ দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হবে। ভারত দারিদ্র্য নিরসনে কাজ করছে। অবহেলিত জনপদের মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধি স্যানেটেশন এবং শিক্ষা নিয়েও কাজ করছে। নারীকে অথনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে পারলে দেশ আরো এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
চীনের প্রতিনিধি বলেন, চায়না সরকার শিক্ষা ও নারীর জন্য সহায়ক কিছু নতুন আইন সংযোজন করেছে। যা এসডিজির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। উন্নয়নশীল দেশগুলো একসঙ্গে কাজ করলে এসডিজি দ্রæত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। গরিব দেশগুলোকে কিভাবে সাহায্য করা যায় সেজন্য কার্যকর নীতি গ্রহণের দাবি জানান কিউবার প্রতিনিধি।
জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধি বলেন, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও সহায়তা নিয়ে তাদের সংসদ অনেক কাজ করছে। তবে এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে তাদের নেয়া পদক্ষেপ কম নয়।
দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সহায়তা \ তীব্র খরায় ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া ও উত্তর কেনিয়ার দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সাহায্যে দ্রæত এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহŸান জানিয়েছে ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)। মঙ্গলবার আইপিইউ সম্মেলনে এ বিষয়ে একটি জরুরি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। গত দুই দিন বিষয়টির উপর আলোচনা হয়। বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য ও কেনিয়ার প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি আইপিইউ অধিবেশনে উত্থাপন করা হয়।
দুর্ভিক্ষ সম্পর্কিত প্রস্তাবে বলা হয়- ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া ও উত্তর কেনিয়ায় চলমান দুর্ভিক্ষের ফলে এই অঞ্চলসমূহে চরম মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হতে পারে। গত ১০ মার্চ জাতিসংঘও এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে সতর্ক করে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রস্তাবনা গ্রহণের মাধ্যমে আইপিইউ সদস্যরা নিজ নিজ সরকারকে জরুরি ত্রাণ সহায়তা দিতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে ওই বৈঠকে মেক্সিকোর দেয়া ‘বিশ্বজুড়ে কঠোর অভিবাসন নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁঁকি’ এবং আরব গ্রæপের পক্ষে ফিলিস্তিনের দেয়া ‘বসতি স্থাপন প্রক্রিয়াকে ইসরায়েলের আইনি বৈধতা ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ শীর্ষক দু’টি প্রস্তাব ভোটে নাকচ হয়ে যায়।
রাশিয়ায় হামলার ঘটনায় শোক প্রস্তাব \ রাশিয়ায় বোমা হামলা ও হতাহতের ঘটনায় আইপিইউ সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে অধিবেশন শুরুর আগে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অধিবেশন শেষে ওই সভার সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার হামলার ঘটনায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এসময় আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের জোরালো অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় সদস্য দেশগুলোকে একত্রে কাজ করার আহŸান জানিয়েছেন।  
সংসদ ভবন পরিদর্শন \ আইপিইউ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশে^র বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টের প্রতিনিধিগণ জাতীয় সংসদ ভবন পরিবদর্শন করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে পরিদর্শনকালে প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, হুইপ ইকবালুর রহিম ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিদেশি প্রতিনিধিদেরকে স্বাগত জানান। তারা বিদেশি প্রতিনিধিদের সাথে থেকে সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম ও ভবনের স্থাপত্যকর্ম বর্ণনা করেন। তারা বিদেশি অতিথিদের বিভিন্ন জিজ্ঞাসারও উত্তর দেন।
বিদেশি অতিথিগণ স্বাগতিক দেশের পার্লামেন্ট ভবনের সংসদ কক্ষ, লাইব্রেরি, স্থায়ী কমিটিসমূহের বৈঠকের কক্ষসহ সংসদ ভবনের উত্তর ও দক্ষিণ প্লাজা ঘুরে দেখেন। অতিথিগণ সংসদ ভবনের অনন্য স্থাপত্য শৈলী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন এবং উচ্ছ¡সিত প্রশংসা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ