পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : গ্রাহকের চাহিদা বাড়ায় ব্যাংকগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণের সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ ও ব্যক্তিগতভাবে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। এতোদিন সর্বোচ্চ ২০ ও ১০ লাখ টাকা ঋণ নেওয়া যেতো। এছাড়া জামানতবিহীন সর্বোচ্চ সীমাও বাড়ানো হয়েছে। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
সর্বশেষ ২০০৪ সালে জারি করা এক পরিপত্রের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড ও ব্যক্তিগত ঋণসীমা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। দীর্ঘ এ সময়ে চাহিদা বৃদ্ধি ও ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা উদ্বৃত্ত অর্থ বিনিয়োগে আনার লক্ষ্যে এখন উভয় ক্ষেত্রে ঋণ সীমা বাড়ানো হয়েছে। অবশ্য অন্য সব খাতের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডে ঝুঁকি বেশি হওয়ায় এখানে বেশি সুদ চার্জ করে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে ব্যাংক খাতের গড় সুদহার সিঙ্গেল ডিজটে নেমে আসলেও এক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ নেওয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, এখন থেকে বিনা জামানতে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। এতোদিন এধরনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা ঋণ দিতো ব্যাংক। আর জামানতের বিপরীতে এখন থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। আগে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ ছিল। এ পরিপত্রে ব্যক্তিগত ঋণসহ বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটায় জামানতবিহীন ঋণ সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। আর জামানত নিয়ে এখন থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যাবে। আগে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, উৎপাদনশীল খাতে ঋণ চাহিদা বেশি থাকলে ভোক্তা ঋণকে নিরুৎসাহিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য বিভিন্নভাবে এধরনের ঋণের সীমা আরোপ করে দেওয়া হয়। তবে আশানুরুপ বিনিয়োগ না হওয়ায় ব্যাংকগুলোর কাছে এখন প্রচুর অলস অর্থ পড়ে আছে। একই সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এসব ঋণ নেওয়ার আগ্রহ বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন পক্ষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সময়ে কেন্দ্রীয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিপত্রে ব্যাংকগুলোকে একটি সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকের মোট ঋণের প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে ভোক্তা ঋণের প্রবৃদ্ধি বেশি হতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।