পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীতে গণপরিবহনে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সিটিং ও স্পেশাল সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিলের পর সিটিং, গেইটলক কিংবা স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো বাস চলতে পারবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এসময় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ঢাকা শহরে সিটিং-গেইটলক কিংবা স্পেশাল সার্ভিস নামে কোনো সার্ভিস চলতে পারবে না। প্রতিটি বাসকে রুট পারমিট অনুযায়ী চলতে হবে। তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিসের নামে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল গণপরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে ‘সিটিং সার্ভিস’ নামের যন্ত্রণা নগরবাসীকে ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন সময়ে সরকারের মন্ত্রীরাও এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, কিন্তু কাজ হয়নি। দেখা যায়, গায়ে ‘সিটিং সার্ভিস’ লেখা থাকলেও অধিকাংশ বাসেই আসনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। নিয়ম থাকলেও যাত্রীদের টিকেট দেয়া হয় না। আদায় করা হয় বাড়তি ভাড়া। এ নিয়ে যাত্রীদের বাজে আচরণেরও মুখোমুখি হতে হয় অনেক সময়। রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিয়ম বন্ধে এবার উদ্যোগী হয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান এনায়েত উল্যাহ। তিনি বলেন, রুট পারমিটে সিটিং সার্ভিস বলে কোনো শব্দ নাই। দেখা গেছে, অফিস আওয়ারে হাজার হাজার যাত্রী রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু গাড়ি সিটিং বলে চলে যাচ্ছে, যাত্রীরা যেতে পারছে না। সিটিংয়ের নামের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার সময় পুরো পথের ভাড়া নেয়া হচ্ছে, আবার রাস্তা থেকে যাত্রীও তোলা হচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে কিনা তা দেখতে সমিতির কয়েকটি দল রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া আদায়, প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার তালিকা টাঙানো এবং গাড়ির ছাদ থেকে ক্যারিয়ার, সাইড অ্যাঙ্গেল ও অতিরিক্ত সিট খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া আমরা বিষয়গুলো নিয়ে অবহিত হয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার। এর অংশ হিসেবেই আজকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।