পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ঐতিহাসিক লালবাগ শাহী মসজিদের ইমাম ও লালবাগ মাদ্রাসার উস্তাদ সর্বজনমান্য বুজুর্গ হযরত হাফেজ্জী হুজুর এবং ঢাকা আলিয়ার প্রধান শিক্ষাবিদ, বায়তুল মোকাররমের প্রথম খতিব অজাতশত্র বুজুর্গ আওলাদে রাসূল মুফতি সাইয়িদ আমীমুল ইহসানের নাম অন্যায়ভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় তোলা, তাদের নামে নামকরণকৃত সড়ক থেকে তাদের নামফলক অপসারণের পেছনে যারা আছেন তাদের বোধোদয় কামনা করে গতকাল প্রবাসী ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। সউদী প্রবাসী ইমাম মাওলানা আবদুল হাকিম, মিসর শাখার আহŸায়ক মাওলানা নাজমুল ইসলাম, কাতারের ইমাম সমিতি নেতা মুফতি সদরুল ইসলাম, মক্কায় কর্মরত হাফেজ ইসমাঈল, মুফতি নূরুল হক, হাফেজ মাওলানা ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, হাফেজ্জী হুজুর ও মুফতি আমীমুল ইহসান নিঃসন্দেহে আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেছেন, যে আমার ওলীর বিরুদ্ধে শত্রæতায় লিপ্ত হবে আমি আল্লাহ স্বয়ং তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম। ঢাকার রাজপথের ফলক থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ দুই ওলীর নাম মুছে দেয়ার উদ্যোগী হওয়ায় শাহরিয়ার কবির ও অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বড় ধরনের অন্যায় ও পাপ কাজ করেছেন। অবিলম্বে তওবা না করলে তারা আল্লাহর গজবে নিপতিত হতে পারেন। ভুল সংশোধন করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের অতি দ্রæত আল্লাহর দরবারে তওবা করা উচিত।
প্রবাসী ইমাম নেতৃবৃন্দ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এদিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত। তিনি জানেন না এমন সিদ্ধান্তও ইদানীং দেশের উচ্চপর্যায়ে হচ্ছে বলে শুনে আমরা উদ্বিগ্ন। সুপ্রিম কোর্টে গ্রিক দেবীমূর্তি বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জানেন না। পাঠ্যপুস্তকে তার দেয়া সংশোধনীর বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে। এসব কিসের আলামত? এভাবে চললে দেশে নৈরাজ্য ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগবে না। প্রবাসী ইমাম নেতারা বলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বহু পূর্বেই শাহরিয়ার কবিরকে রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি পাক বাহিনীর মুরগি সাপ্লায়ার ছিলেন বলেও ইতিহাসে পাওয়া যায়। মুনতাসির মামুন সম্পর্কে গত পরশু এক সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধে যাওয়ার বয়স ও সক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও মুনতাসির মামুন যুদ্ধে যাননি। অন্যান্য সূত্রেও জানা যায়, তিনি ছিলেন পাক সরকারের অনুগত একটি রাজাকার আমলা পরিবারের সদস্য। তার পরিবারের কোনো সদস্যই মুক্তিযুদ্ধে যায়নি। অথচ এই মুনতাসির মামুনই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তৈরি ও মুক্তিযুদ্ধের গবেষণায় কাজ করছেন। পশ্চিমাদের মুরগি সরবরাহকারী ঠিকাদার আর পারিবারিক ভূমিকায় রাজাকার ব্যক্তিরা এখন দেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান এজেন্ট সেজে বসেছে, যা সক্রিয় ও ত্যাগী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য লজ্জাজনক।
তারা সম্পূর্ণ নিরপরাধ দুই ওলীকে স্বাধীনতাবিরোধী প্রমাণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল আলেম, ইমাম ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাইছেন। অথচ হাফেজ্জী হুজুরের ইন্তেকালের পর জননেত্রী শেখ হাসিনা তার পরিবারকে সান্ত¦না দিয়ে বলেছিলেন, হাফেজ্জী হুজুরকে আমার মা পিতার মতো মান্য করতেন। প্রধানমন্ত্রী তখন হাফেজ্জী হুজুরের পুত্রদের মামা বলে সম্বোধন করেন এবং এখনও তিনি তাদের সাথে শ্রদ্ধা ও মমতার সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন। হাফেজ্জী হুজুর সম্পর্কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, জেনারেল ওসমানী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার মোস্তফা মহসীন মন্টু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হকের নানা সময়ের মন্তব্য ও মূল্যায়ন থেকেও তার ভূমিকা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। এতসব সত্তে¡ও এ চিহ্নিত দুই ব্যক্তির ঘৃণ্য ভূমিকায় আমরা হতবাক। তারা দুইজন অবিলম্বে তওবা করুন। প্রধানমন্ত্রীও এসব দুষ্ট লোকের বিষয়ে সতর্ক থাকবেন বলে আশা রাখি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।